Date : 2024-04-18

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের গাফিলতির কারণে নিশ্চিত চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলেন নদীয়ার যুবক

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : পাবলিক সার্ভিস কমিশনের উত্তরপত্রে ভুল, মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে। বর্তমানে শূন্য পদ কত জানাতে হবে পরিবহন দপ্তরের সচিবকে।

মামলার বয়ান অনুযায়ী ৬৬টি শূন্য পদের জন্য ২০১৮সালের ৩০শে সেপ্টম্বরে মোটর ভিকেলস ইন্সপেক্টরের (নন টেকনিক্যাল পদে) পদের নিয়োগের জন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এই ৬৬ টি শূন্য পদের মধ্যে তপশিলি জাতি, উপজাতি ছাড়াও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য আসন সংরক্ষণ ছিল।

নদীয়ার বাসিন্দা মামলাকারী অদ্বৈত বিশ্বাস তপশিলি জাতি পরীক্ষা দেয় ২০১৮সালে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন
পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে ২ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে। এই পদে নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীকে ১১৫.৩৩.নম্বর পেতে হবে। কিন্তু মামলকারি পেলেন ১১৪ নম্বর।

অদ্বৈত বাবু পরীক্ষার রেজাল্ট দেখে তার সন্দেহ হয় এবং তিনি তথ্যের অধিকার আইনে (RTI) জানতে চান পরীক্ষা দিয়েছিলেন তার প্রকৃত তথ্য। কিন্ত একমাসে উত্তর পেলেন না তিনি । পরবর্তী সময় অদ্বৈত বাবু ফের RTI আবেদন করেন । দ্বিতীয়বার যখন তথ্যের অধিকারী আইনে তিনি জানতে চেয়েছিলেন তারপরেই তার হাতে এসে পৌঁছায় উত্তর পত্রগুলি।এর পর উনি যা ভেবেছিলেন তাই হলো ।প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তর ভুল । নিরুপায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি লোপিতা বন্দোপাধযায়ের এজলাসে মামলার দায়ের করেন।

প্রথম দফায় মামলার শুনানি চলাকালীন মামলাকারীর অদ্বৈত বিশ্বাসের পক্ষের আইনজীবী সৌম্য দাশগুপ্ত ,অনামিকা চক্রবর্তী , মৌশ্রী জানা দাবি করেন পিএসসির ওই প্রশ্নপত্রের অনুযায়ী পাঁচটা উত্তর ভুল (পিএসসি র দেওয়া উত্তর পত্র অনুযায়ী ভুল)। বিচারপতি লোকপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপার্ট কমিটির কাছে এই পাঁচটি উত্তরপত্র যাচাই করার জন্য নির্দেশ দেন।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালযের এক্সপার্ট কমিটি তাদের রিপোর্টে জানায় পাবলিক সার্ভিস কমিশন যে উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের দিয়েছিল তার মধ্যে তিনটি উত্তরপত্রই ভুল ছিল।
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের গাফিলতির কারণে নিশ্চিত চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অদ্বৈত বাবু। এক্সপার্ট কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে আট নম্বর বাড়লো আদিত্য বিশ্বাসের ।

মঙ্গলবার বিচারপতি লোপিতা বন্দোপাধ্যায় মোটর ভেইকেল রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের সচিবকে নির্দেশ দেন এই মুহূর্তে শূন্যপদের সংখ্যা কত? জানাতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ জুন ।