মঙ্গলবার আইপিএলে সুপার ডুয়েল। সন্ধে সাড়ে সাতটায় মুখোমুখি বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। দশ ম্যাচে দুই দলেরই পয়েন্ট দশ। ফলে এই ম্যাচের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করতে চলেছে। যেই দলই জিতবে, একে অপরকে ছাপিয়ে যাবে তারা। বিরাট কোহলির দল শুরুটা ভালো করলেও ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছে। অন্যদিকে রোহিত শর্মার মুম্ই ইন্ডিয়ান্স স্রেফ অধিনায়ক ছাড়া মোটামুটি সবাই কমবেশি পারফরম করছে। 10 ম্যাচে রোহিত শর্মার রান মাত্র 184। যা থেকেই পরিস্কার, এবারে মরসুমটা মোটেই ভালো যাচ্ছে না তার। মুম্বইয়ের লিগ টেবিলের নিচের দিকে থাকারও অন্যতম কারণই রোহিত শর্মার অফ ফর্ম ব্যাট হাতে অবশ্য রোহিত শর্মার খারাপ ফর্ম ঢেকে দিচ্ছেন সুর্যকুমার যাদব, ইশান কিষাণ, তিলক বর্মা, টিম ডেভিড, ক্যামেরন গ্রিনরা। তবে মুম্বইয়ের সমস্যা কম নয়, কারণ ডেথ বোলিংয়ের ক্ষেত্রে বিপুল রান দিচ্ছেন পেসারার। জোফ্রা আর্চার দলের সঙ্গে যোগ দিয়েও দলের বোলিং ইউনিটের পারফরমেন্স তেমন কিছু শুধরায়নি। এটাই প্রধান চিন্তার রোহিত শর্মার। সেদিক থেকে বিরাট কোহলি-ফাফ দুপ্লেসিস রানের মধ্যে রয়েছে, এটাই একমাত্র স্বস্তির দিক আরসিবির। তবে শেষ ম্যাচে যেভাবে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে বড় রান করেও হারতে হয়েছে আরসিবিকে, তাতে বোলিং নিয়ে চিন্তা রয়েছে ব্যাঙ্গালোর শিবিরেরও। বিরাট কোহলির ধীর গতির ব্যাটিংও সমালোচিত হয়েছে গত ম্যাচে। কারণ বিরাটের মতো আগ্রাসি ব্যাটারও গত ম্যাচে 46 বলে 55 রান করেছেন। এদিকে বোলিং করতে এসে দিল্লির বিপক্ষে সিরাজরা দাড়াতেই পারেননি। মাত্র 16.4 বলেই 187 রান তুলে নেয় দিল্লি। সিরাজ 2 ওভারে দেন 28 রান। হর্শল প্যাটেল 2 ওভারে খরচ করেন 32 রান। মহিপাল লমরোর এক ওভারে 13। স্পিনার কর্ণ শর্মার ইকোনমি ছিল 11। অস্ট্রেলিয়ান পেসার জস হ্যাজলউডের ইকোনমিও ছিল 10 ছুঁইছুঁই। ফলে মুম্বইয়ের মতো আরসিবিরও মাথা ব্যাথার কারণ অনেক। যদিও ম্যাচের টিআরপি নির্ধারনে মাথা ব্যাথা নেই, বরং বিরাট-রোহিত টক্করই নজর কাড়ছে বেশি। ভারতীয় দলে প্রাক্তন এবং বর্তমান অধিনায়কের মুখোমুখি টক্করে শেষ মেষ বাজিমাত করবে কে, সেটাই এখন দেখার।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.