সঞ্জু সুর, সাংবাদিক: রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নিয়ে একের পর এক কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি। তবে সেই ভারত জোড়ো যাত্রা’র ফল পেল কর্ণাটক কংগ্রেস। তথ্য দিয়ে এমনটাই দাবি কংগ্রেস নেতৃত্বের। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত কর্ণাটকের সাতটি জেলার ৫১ টি বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে যায় রাহুলের যাত্রা। যার অধিকাংশ আসন এখন কংগ্রেসের দখলে।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়লাভ করলো কংগ্রেস। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্ণাটক বিধানসভায় কংগ্রেস জয়লাভ করেছে ও এগিয়ে আছে ১৩৮ টি আসনে। দক্ষিণের এই রাজ্যে দশ বছর পর ফের একবার একক ভাবেই ক্ষমতা দখলের পথে তারা। বিজেপির সমস্ত হিসাব উল্টে দিয়ে কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই ক্ষমতা দখলের পিছনে অনেকেই রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা’র সুফল দেখছেন, বিশেষ করে কংগ্রেস নেতারা কর্ণাটক জয়ের কৃতিত্ব রাহুলকেই দিচ্ছেন।
বস্তুতঃ তাঁদের এই দাবির পিছনে যে তথ্য তাঁরা সামনে আনছেন সেটাও ফেলে দেওয়ার মতো নয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে দীর্ঘ ২৪ দিন ধরে কর্ণাটকের বেল্লারি, টুমকুর, চামারাজনগর, মাইশোর, মান্ড্যয়, রায়চুর ও চিত্রদূর্গ জেলায় ভারত জোড়ো যাত্রা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই সময় এই সাত জেলার মোট ৫১ টি বিধানসভা আসনকে ছুঁয়ে যান তিনি। শনিবার ভোটের ফল প্রকাশের দিন দেখা যাচ্ছে এই ৫১ টি আসনের মধ্যে ৩৬ টি আসনে কংগ্রেস হয় জিতেছে নয়তো এগিয়ে রয়েছে, শতাংশের বিচারে যা প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি। এদিকে কংগ্রেসের দাবি রাহুল গান্ধীর কাছে এই বিষয়ে হেরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাদের দাবি কর্ণাটকে কয়েক দফা ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী যেসব জনসভা করেছেন বা রোড শো করেছেন তা ৪২ টার বেশি বিধানসভাকে ছুঁয়ে গিয়েছে। এই ৪২ টার মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ আসনে বিজেপি জিততে পেরেছে বা এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেসের ভালো ফলের পিছনে যেখানে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা’র সাফল্য রয়েছে, তেমনি বিজেপির এই হারের দায় প্রধানমন্ত্রীকেও নিতে হবে বলে দাবি কংগ্রেস নেতৃত্বের।