ব্রিজ ভূষণ সরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে অবশেষে চার্জশিট জমা দিল দিল্লি পুলিশ। প্রায় চার মাস ধরে কুস্তিগিরদের ধর্না প্রতিবাদের পর অবশেষে চার্জশিট জমা পড়ল। 354, 354ডি, 354 এ এবং 506(1) এর ধারা প্রয়োগের কথা বলা রয়েছে চার্জশিটে। ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিলেন 15 জুনের মধ্যে দিল্লি পুলিশ তদন্ত শেষ করতে হবে। সেই মতো নির্দিষ্ট দিনেই তদন্তের পর চার্জসিট সামনে এল। এর মধ্যে 354 নং ধারাটি জামিন অযোগ্য। এই ধারা অনুয়ায়ি মহিলাদের জোর করে স্লিলতাহানির চেষ্টা করা হয়। যদিও ব্রিজ ভূষণ সরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যে পকসো আইনে এফআইআর দায়ের হয়েছিল, তা বাতিল করা হচ্ছে। আদালতে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পকসো আইনে মামলা হলেও পরে নির্যাতিতার বাবা বয়ান বদলে দেওয়ায় সেই এফআইআর বাতিল হয়ে যায়। প্রথমে নির্যাতিতা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুললেও পরে দ্বিতীয়বার বয়ান রেকর্ডের সময় তিনিও বয়ান বদলে দেন। ফলে পকসো আইনের ধারা সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রায় 150 জন সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলে চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। ব্রিজ ভূষণের সহকারির নামও রয়েছে পুলিশের রিপোর্টে। 4 জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে প্রায় চার মাস ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ার মতো অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগিররা। নারি নির্যাতন নিয়ে দিল্লি পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবং কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় গঙ্গায় পদক ভাসিয়ে দিতে গেছিলেন কুস্তিগিররা। এরপর কৃষক নেতা নরেশ টিকায়েত এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এতদিন কাইসারগঞ্জের সাংসদ ব্রিজ ভূষণ সিং বলে আসছিলেন তিনি কোনও অপরাধ করেননি। অপরাধ প্রমাণ হলে সরে দাঁড়াবেন। এরই মধ্যে দিল্লি পুলিশের চার্জশিটেও তার নাম উল্লেখ করায় চাপ যে বাড়ল ব্রিজভূষণের তা বলাই বাহুল্য।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.