Date : 2024-04-23

ত্বকের যত্নে সেভিংয়ের পরের টিপস

সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- কর্পোরেট চাকরি হোক বা ফোর্সের চাকরি, স্টাইল হোক বা নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা, প্রায় প্রতিদিনই শেভ করতে হয় বহু মানুষকে। রোজ রোজ গালে ব্লেড ব্যবহারের ফলে ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক খসখসে হয়ে যায়। শেভ করার পর ত্বকে জ্বালা-চুলকানির সঙ্গে সঙ্গে অনেকের র‍্যাশও বের হয়। যা রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে। এই ধরণের সমস্যা এড়িয়ে চলতে কয়েকটি নিয়ম মানা দরকার। শেভিংয়ের সময় ভাল মানের রেজার ব্যবহার করা উচিত।

১) ত্বক যাঁদের শুষ্ক বেশি তাঁদের জ্বালা- পোড়া, চুলকানির সমস্যা ততটাই বেশি। তাই ত্বক যাতে শুষ্ক না হয়ে পড়ে সেদিকে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরী। দাড়ি কমানোর প্রায় ৬ থেকে ১২ ঘণ্টা আগে মুখের ত্বকে ময়েশ্চারাইজার বা অ্যালোভেরা জেল মাখুন। এর ফলে ত্বক ময়শ্চারাইজড এবং হাইড্রেটেড থাকে।

২) দাড়ি লম্বা থাকলে আগেই কাঁচি দিয়ে ছোট করে নেওয়া প্রয়োজন। লম্বা দাড়ি রেজার দিয়ে কাটলে গালে একাধিকবার ব্লেডের ঘষা লাগে, যার ফলে ত্বকে ক্ষত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই শেভ করার আগে লম্বা দাড়ি কেটে ছোট করে নেওয়া প্রয়োজন।

৩) দাড়ির বৃদ্ধি যেদিকে সেদিকে শেভ করতে হবে। যদি দাড়ি বৃদ্ধির উল্টো দিকে শেভ করা হয়, তাহলে দাড়ির ফলিকলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে।

৪) সঠিক শেভিং ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। স্নানের জন্য ব্যবহার করা শাওয়ার জেল বা সাবান একদম ব্যবহার করা যাবে না। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী শেভিং ক্রিম বা ফোম বা জেল ব্যবহার করতে হবে। যেসব ক্রিম বা ফোমে ফেনা বেশি হয় তা ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বক মোলায়েম হবে।

৫) দাড়ি কমানোর পর ত্বকের জ্বালা-চুলকানি কমাতে অ্যালোভেরা জেল বা আফটার-শেভ লোশন গালে মাখতে হবে। এর ফলে জ্বালাভাব অনেকটাই কমবে।