Date : 2024-03-19

নবম দশম একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের আতশ কাচে ২০ জন শিক্ষক!

নবম দশম একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের আতশ কাচে ২০ জন শিক্ষক!

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : ২০১৬ সালে নবম দশম একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে ভৌত বিজ্ঞান, বাংলা ,ভূগোল, ইংরেজি, এডুকেশন সহ একাধিক বিষয় শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়। ২০১৮ সালে জুন মাসে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। যে নিয়োগ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টে।

২০১৬ সালের এসএলএসটি পরীক্ষায় স্বাগতা বিশ্বাস ,বিশ্বজিৎ দেবনাথ, মৌসুমী মন্ডল সহ ১২ জন অভিযোগ করেছেন তাদের থেকে প্রাপ্ত নম্বর কম পেয়েও এবং মেধা তালিকার নিচের দিকে থাকা সত্ত্বেও তারা নিয়োগপত্র নিয়ে বহাল তবিয়তে শিক্ষকতার চাকরি করছেন।
তাদের আরও অভিযোগ প্রাপ্ত নম্বর তাদের বেশি থাকা সত্ত্বেও তাদের নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা দপ্তর স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে দীক্ষিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও স্কুল সার্ভিস কমিশন তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি অবশেষে নিরুপায় তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।।
এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন ২৩ শে ফেব্রুয়ারি মামলাকারীর আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান যে এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেন যাদের প্রাপ্ত নম্বর বেশি তাদের নিয়োগ করতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্টের ২ বিচারপতির নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন কম নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থীদের নিয়োগ বাতিল করেন শুধু তাই নয় যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র তুলে দেন এবং এসএসসি তারা তাদের ভুল আদালতের স্বীকার করেও নিয়েছিলেন কিন্তু এক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি যা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুনানি তে বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় স্কুল সার্ভিস কমিশন কে এ বিষয়ে তাদের কি অবস্থান তা হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সোমবার মামলার শুনানি চলাকালীন বিশ্বজিৎ দেবনাথ মৌসুমী মন্ডল স্বাগতা বিশ্বাস সহ ১২ জনের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানায় একজন প্রার্থী তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৭০ যিনি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। অথচ ৬৭.৩৩ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় নিচের দিকে থাকা সত্ত্বেও তিনি বর্তমানে শিক্ষাগতার চাকরি করছেন।

সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় ছটি মামলায় যাদের ক্রম তালিকা নিচের দিকে এবং প্রাপ্ত নম্বর মামলাকারীদের থেকেও কম অথচ শিক্ষক হিসেবে কর্মরত তাদের এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেরকম ২০জনকে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দেন। আগামী ৩০ শে জুনের মধ্যে তাদের হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় তারা কম নম্বর পেয়েও চাকরি করছেন মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৮ই জুলাই।