সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- বছর শেষে শহর জুড়ে তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইতিমধ্যেই আদালতের তরফ থেকে ইডিকে এই তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কার্যত সেই জন্যই অ্যাকশন মুডে ইডি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের ৯ জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বড়বাজারে রাজেশ দোশির অফিসে হানা দেয় ইডি আধিকারিকরা। তবে অফিসের চাবি না পাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর পিওনকে সঙ্গে নিয়ে অফিসে ঢুকে তল্লাশি শুরু করা হয়। সূত্রের খবর পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রাজেশ দোশি তাঁর কোম্পানির আড়ালে হাওয়ালার কাজ করতেন। এদিন তাঁর ব্যবসায়িক নথিপত্র খতিয়ে দেখে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে শুধু তাঁর অফিস নয়, ভবানীপুরের এটিএম রোডে তাঁর বাড়িতেও যায় গোয়েন্দারা।
খতিয়ে দেখা হয় তাঁর আয় ব্যয় সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি। জিজ্ঞাসাবাদ চলে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে। এছাড়াও একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে যায় ইডি। গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউতে পি ডি রান্ধার অ্যান্ড কোম্পানি নামে একটি সিএ ফার্মের অফিসেও চলে ইডির তল্লাশি অভিযান। খতিয়ে দেখা হয় কোম্পানির নথি। বেলেঘাটায় সাইরাইজ টাওয়ার ১-এ রাঘব রান্ধারের ৭সি ফ্ল্যাটে চলে তল্লাশি। আলিপুরের পার্ক প্যালেসে একটি বিলাসবহুল আবাসনে সুশীল মেহেতা নামেও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি করা হয়।
এদিন সকাল থেকে তল্লাশি চলে অশোক জাদুকা নামে আর এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। মানিকতলাতেই সুবোধ চাঁচার নামে আর এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটেও তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি করা হয় ছাতাওয়ালা গলির একটি অফিসেও। এরই মধ্যে কেষ্টপুরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি। এই সব ব্যবসায়ীরাই ব্যবসার আড়ালে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সাদা করত বলে অনুমান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। একাধিক ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর পদেও ছিলেন এঁরা বলে সূত্রের খবর। এদিনের এই তল্লাশি থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কি তথ্য পাওয়া যায় সেটাই এখন দেখার।