সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনারের তরফ থেকে বিদ্যাসাগর সেতুর কেবল পরিবর্তনের জন্য গত ৫ তারিখ রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত হাওড়ামুখী ভারি বা মাঝারি যানবাহন হুগলি সেতু দিয়ে যেতে পারবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছিল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। এদিন রাতে প্রথম দিনের ট্রায়াল রান করা হয়। মাঝারি ও ভারি যান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকায় বাড়তি চাপের সম্মুখীন হতে হয়েছে ট্রাফিক গার্ড গুলিকে। রাত ১০ টার পর ভারি ও মাঝারি পণ্যবাহী যান গুলি যে রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসা করবে সেই এলাকাগুলির গার্ড গুলোয় ইতিমধ্যেই বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সাউথ ট্রাফিক গার্ড, বিদ্যাসাগর সেতু ট্রাফিক গার্ড, হেড কোয়ার্টার ট্রাফিক গার্ড, শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ড, জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ড, হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ড, মেটিয়াব্রুজ ট্রাফিক গার্ড, সাউথ ওয়েস্ট ট্রাফিক গার্ডের অফিসার ইন চার্জরা ছিলেন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। শুধু তাই নয়, যতদিন এই কাজ চলবে রাতে গার্ডে একজন করে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকদের রাখা হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ট্রাফিক গার্ডে বাড়তি অ্যাডিশনাল পদমর্যাদার আধিকারিক আনা হয়েছে। প্রথম দিনের ট্রায়াল রানে রাত ১২.৩০ টার ডানলপে পণ্যবাহী গাড়ির যানজটের জন্য শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ড এলাকায় মন্থর গতিতে চলে যানবাহন। যার ফলস্বরূপ, সেন্ট্রাল অ্যাভানিউতে এর প্রভাব পড়ে ও যানজটের সৃষ্টি হয় বলে ট্রাফিক সূত্রে জানা গেছে। ডিসি ট্রাফিক ইয়েলওয়াড় শ্রীকান্ত জগন্নাথরাও নিজে এই এলাকা গুলি পরিদর্শন করে দেখেন। আগামী কয়েকদিন আইপিএস পদমর্যাদার আধিকারিকরা নিজেরা রাতে এলাকা পরিদর্শন করবে বলে জানা গেছে। শুধু হুগলি সেতুর কাজ নয়, বিধাননগর কমিশনারেটের অন্তর্গত কৈখালীতেও চলছে রাস্তার কাজ ফলে তার পরোক্ষ প্রভাব এসে পড়ছে কলকাতা পুলিশ এলাকায়। শহরের দুই প্রান্তে কাজ হওয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়ছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের এলাকায়। ফলে রাতের কলকাতায় কোনও রকম যানজটের সৃষ্টি না হয় সেদিকে বাড়তি নজর রয়েছে পুলিশের।