নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : প্রথমবার ক্লাসিক্যাল মিউজিক কনফারেন্স হতে চলেছে মুক্ত মঞ্চে। কলকাতার একতারা মুক্তমঞ্চে ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারী ২০২৪ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মেলন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক উদ্যোগে শাস্ত্রীয় সংগীতকে শুধুমাত্র শাস্ত্রীয় সংগীত প্রেমী শ্রোতাদের কাছেই নয়, সাধারণ মানুষের কাছে আরো জনপ্রিয় করে তোলার জন্য মুক্ত মঞ্চে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ও রাজ্যের বাইরে থেকে প্রায় ৫০ জন শিল্পী এই ক্লাসিক্যাল মিউজিক কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবেন।এ বছর সঙ্গীত সম্মেলনে স্বনামধন্য প্রবীন শিল্পীদের সাথে নবীন শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করবেন।
নবীন প্রজন্ম যাতে শাস্ত্রে সংগীতের প্রতি আরো বেশি করে উৎসাহিত হয় তারজন্য সারাবছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রচার ও প্রসারের জন্য নিরন্তরভাবে কাজ করে থাকে।
নতুন প্রতিভা অন্বেষণের জন্য আকাদেমি প্রতিবছর শাস্ত্রীয় সংগীত যথা ধ্রুপদ ও খেয়াল, ঠুমরী ও গজল, রাগপ্রধান গান, তবলা ও শাস্ত্রীয় যন্ত্রসংগীতের প্রতিযোগিতা, কেন্দ্রীয় কর্মশালা এবং জেলায় কর্মশালা আয়োজন করে থাকে। একবছরের জন্য একইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ কর্মসূচী ও ছয় মাসের জন্য স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ কর্মসূচী আকাদেমির গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচী। মূলতঃ শাস্ত্রীয় সংগীত ও লঘু শাস্ত্রীয় সংগীত বিষয়ের ওপর স্বনামধন্য গুরুর তত্ত্বাবধানে নবীন শিল্পীদের উক্ত কর্মসূচীগুলির মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মাতৃভাষাকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে সরকারিভাবে বাংলা খেয়ালকে স্বীকৃতি জানিয়েছেন। এটি একটি ঐতিহাসিক বিষয়। বাংলা ভাষার খেয়ালের প্রচার প্রসারের জন্য ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বাংলা খেয়ালের ওপর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় এবং ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ কর্মসূচীও অনুষ্ঠিত হয়।
নতুন প্রতিভার অন্বেষণে এই আকাদেমি বিভিন্ন জেলায় শাস্ত্রীয় সংগীতের ওপর কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। এবছর বাঁকুড়া ও জলপাইগুড়ি জেলায় কর্মশালা আয়োজিত হচ্ছে। জলপাইগুড়ি জেলায় তবলা বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল ও ফেব্রুয়ারী মাসে বাঁকুড়া জেলায় শাস্ত্রীয় সংগীত বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মেলনের ধারাকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দিতে গত বছর থেকে ‘জেলা শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মেলন’ আয়োজন করা হচ্ছে। গত বছর হুগলী এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায় “জেলা শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মেলন” অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেই সাফল্যকে মাথায় রেখে এবছর হুগলীর চন্দননগরে ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি, পশ্চিম বর্ধমানের দূর্গাপুরে ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি, বাঁকুড়া ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি, শিলিগুড়ি ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ডায়মন্ড হারবার ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি “জেলা শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মেলন” অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।