সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- আগামী সোমবার একদিকে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে। অন্যদিকে, ওইদিনই শহরজুড়ে একাধিক অনুষ্ঠান, কর্মসূচি রয়েছে শাসক ও বিরোধী দলের। সমস্ত অনুষ্ঠান যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর কলকাতা পুলিশ। ২২ জানুয়ারি শহরজুড়ে মোতায়েন থাকবে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ। প্রয়োজনে কালীঘাট চত্বরে মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত পুলিশ। আগামী সোমবার হাজরা মোড় থেকে পার্কসার্কাস পর্যন্ত সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। লালবাজার সূত্রের খবর, সেদিন ৫০ থেকে ৬০টি সংগঠন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছোট-বড় অনুষ্ঠান করবে। তার অংশ হিসেবে থাকবে জায়ান্ট স্ক্রিনে অযোধ্যা দর্শন, রামের পুজো ও প্রসাদ বিতরণ। উল্লেখ্য, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের লাইভ ভিডিও দেখানো হবে জায়ান্ট স্ক্রিনে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩ থেকে ৪টি মিছিল বের হবে। প্রতিটি মিছিলে ১০০০ থেকে ১৫০০ জন অংশগ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়েছে পুলিশকে। তার মধ্যে ২টি মিছিল উল্লেখযোগ্য। একটি রমেশ মিত্র রোড থেকে যাবে ক্যামাক স্ট্রিট পর্যন্ত। আরেকটি মিছিল শিয়ালদা থেকে শুরু হয়ে গিরিশ পার্ক রাম মন্দিরের সামনে শেষ হবে। কোনও জায়গায় যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করেছে লালবাজার। ওইদিন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন সকল শীর্ষ কর্তারা। প্রতিটি বিভাগের ডেপুটি কমিশনাররা নিজ নিজ এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। এছাড়া থাকবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকরাও। শহরের প্রতিটি থানাকে সবসময় সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় থাকবেন ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট – সহ অন্য পুলিশকর্মীরা। কালীঘাটেও ওইদিন বিরোধী দলের কর্মসূচি রয়েছে। ওই এলাকায় প্রয়োজনে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সে জন্য প্রস্তুত রাখা হবে রিজার্ভ ফোর্সকে।
২২ জানুয়ারি প্রতিটি মিছিলকে এসকর্ট করবে স্থানীয় থানার পুলিশ। সংবেদনশীল এলাকায় বসানো হবে পুলিশ পিকেট। একাধিক মোটরসাইকেল প্যাট্রোলিং বাহিনী টহলদারি করবে। গঙ্গার ঘাটগুলিতে থাকবে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মিছিলের সময় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। কোথাও যাতে বেশিক্ষণ যানজট বা যান চলাচল শ্লথ না হয়ে যায়, সে বিষয়ে তৎপর থাকবে তারা।