ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক : ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ। মামলাকারীদের সমসংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে বাকি শূন্যপদে শুরু করা যেতে পারে নিয়োগ করা যেতে পারে কিনা সেবিষয়ে মামলকারির আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়।
২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত চাকরি প্রার্থী সৌমিতা সরকার সহ ৭৫ জন মামলাকারির আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান নিয়োগ প্রক্রিয়া এখানে চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনের টেট নম্বর বার বার পুনোর মূল্যায়ন করেছে তার তথ্য এখন প্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ। এবং চাকরি প্রার্থীদের বর্তমানে তাদের টেটের নম্বর কত সেটাই জানানো হয়নি। কোন OMR প্রকাশিত হয়নি। তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়া যখন স্বচ্ছ নয়, তাহলে প্রার্থীদের নিয়োগ কিভাবে সম্ভব? সেই কারণে মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির পরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা উচিৎ।
আপনার কাছে যে মামলাগুলি আছে সেখানে আপনি যদি সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে বহাল রাখেন তাহলে ঠিক আছে, আর আপনি যদি তার বিপক্ষে যান তাহলেই আপনাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যাবে। – বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কিছু সংখ্যক মামলাকারির জন্য কি প্রায় ১৩ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ আটকে রাখা সম্ভব ? – প্রশ্ন বিচারপতির।কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কাউন্সেলিং সম্পন্ন হলেও সুপারিশপত্র দেওয়ার ওপর বহাল আছে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ।শুরু করা যেতে পারে সুপারিশ পত্র দেওয়ার কাজ। – প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানালেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। এই মামলায় মামলাকারির সংখ্যা কত ? – জানাতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি দুপুর ২ টায় পরবর্তী শুনানি।