সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : শনিবার রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার দিকে মারমুখী হয়ে তেড়ে গেলেন তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়। ‘চোর বনাম বাপ’ বিতর্কে তখন আরও একবার অধিবেশন কক্ষের অভ্যন্তরে অপ্রিতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলো। তবে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা মাঝখানে চলে আসায় এ যাত্রায় এড়ানো যায় অপ্রিতিকর পরিস্থিতি।
এদিন বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে তখন বক্তব্য রাখছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্যে বিরোধী দলনেতা বলছিলেন, একশো দিনের টাকা কেন্দ্র তো দিচ্ছে। এই সরকার সেই টাকা দিয়ে বিদ্যুতের বিল মেটাচ্ছে। এই সময়েই পিছনের সারি থেকে তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায় বলে ওঠেন, এটা মিথ্যা কথা। কেন্দ্র সরকারই বড় চোর। চোর,চোর। চোর শব্দ শুনেই নিজের বক্তব্য থামিয়ে পিছন ফিরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তোর বাপ…”। তৎক্ষণাৎ নিজের আসন ছেড়ে বিরোধী দলনেতার আসনের দিকে তেড়ে যান রামেন্দু সিংহ রায়। তাঁর শরীরী ভাষাতেই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল তিনি বেশ ক্ষুব্ধ। মারমুখি মেজাজেই শুভেন্দু অধিকারীর দিকে তেরে যান তিনি। সেই সময় নিজের আসন থেকে ছুটে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ওদিকে বিরোধী বেঞ্চ থেকেও এগিয়ে আসেন বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা। এগিয়ে আসেন তৃণমূল বিধায়ক বিদেশ বোস ও। অরূপ বিশ্বাসী কোন রকমে মারমুখী রামেন্দু সিংহ রায় কে সেখান থেকে সরিয়ে অধ্যক্ষের দিকে পাঠিয়ে দেন। পরে রাজভবনের সামনে এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওদের কাজই এইভাবে কথা বলা। তবে মমতা চোর, মমতা চোর, মমতা চোর।” এদিকে অধিবেশন কক্ষের বাইরে তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায় অভিযোগ করে বলেন, “ওরা দিন রাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে চোর চোর বলে। তখন কিছু হয় না। আমি বলতেই আমার বাবা তুলে কথা।” এই ধরনের বিরোধী দলনেতা এর আগে আসেনি। পরে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে নিজের কথার (চোর) জন্য ক্ষমা চেয়ে যান রামেন্দু সিংহ রায়। এদিকে ‘চোর’ ও ‘বাপ’ এই শব্দদুটি বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অধ্যক্ষ বলে জানা গিয়েছে।