শুক্রবার থেকে শুরু ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট। এই টেস্টে চাপেই রয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই ম্যাচ হাত থেকে বেড়িয়ে গেলে পরের তিন টেস্ট জিতে সিরিজ জেতা কঠিন কাজ হয়ে যাবে। কারণটা খুব স্বাভাবিক ভারতের মাটিতে জাঁকিয়ে বসেছেন ইংল্যান্ড স্পিনাররা। যে অস্ত্রে সচরাচর ভারতীয় দল বাকিদের বিপাকে ফেলত, সেই একই অঙ্কে টিম ইন্ডিয়াকে চাপে ফেলে দিয়েছে ইংরেজরা। বাজবলের অ্যাটাকিং স্টাইলের ক্রিকেট হঠাত্ই টিম ইন্ডিয়াকে সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। বিরাট কোহলির না থাকা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট তা বলাই যায়। কারণ এই দলের সেরা ব্যাটার বিরাটই। তিনি থাকলে হয়ত প্রথম টেস্টও অত অল্প রানের ব্যবধানে হারতে হত না। যতই তার পরিবর্ত খোঁজা হোক, এই দলে এখনও বিরাট অপরিহার্য অঙ্গই। সেটা প্রথম টেস্টেই হাতে নাতে প্রমাণ পাওয়া গেছে। টিম ইন্ডিয়াকে জিততে গেলে এই টেস্টে ব্যাটিংয়ে জোর দিতেই হবে। বড় রান করা না গেলে খুব চাপ হয়ে যাবে। কারণ গত টেস্টেই দেখা গেছে 100-র বেশি রানের লিড নিয়েও শেষরক্ষা করতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটাররা বড় রান না পাওয়ায় হারতে হয়েছিল। তাই প্রথম ইনিংসে সাবধানি ক্রিকেট খেলতে চাইবেন রোহিতরা। কারণটা খুব স্বাভাবিক, পাঁচ দিনের টেস্ট দুদিন বা তার কম সময়ে শেষ করার কোনও প্রয়োজনিয়তাই নেই। বরং হাতে সময় নিয়ে খেলে, তাড়াহুরো না করে, উইকেটে পড়ে থাকলেও রান আসবে। গত ম্যাচে স্পিনের ক্ষেত্রে ভারতীয় ব্যাটাররা বারবার সমস্যায় পড়েছে। ফ্রন্ট ফুটে খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছে আবার ব্যাক ফুটে খেলতে গিয়ে এলবিডাব্লু, বোল্ড। ফলে এই পিচে স্পিনকে কিভাবে সামলাতে হবে তা এখনও গিল, যশস্বী, রাহুল, শ্রেয়সদের কাছে অজানা। জিততে গেলে স্পিন ভালো ভাবে খেলতেই হবে, সেটা বোঝা গেছে। বিশাখাপত্তনমের উইকেট সচরাচর শুরুর দিকে স্পোর্টিং হয়। কিন্তু দুদিন পর থেকেই ফাটতে শুরু করে। তখন স্পিনাররা বিপুল সুবিধা পান। ফলে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড, ভারত দুই দলই চাইবে বড় রান তুলে নিতে। যাতে পরের দিকে বড় রান তাড়া করা এড়ানো যেতে পারে। রোহিত শর্মা গত ম্যাচে সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি, সেটা ব্যাট হাতে এবং অধিনায়কত্বের দিক থেকেও। বরং বেন স্টোক্স বাজি মেরে দিয়ে চলে গেছিলেন। সেই সুযোগ প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভনও খোঁচা দিতে ছাড়েননি রোহিতকে। তিনি বলেছিলেন বিরাট কোহলি অধিনায়ক থাকলে প্রথম টেস্ট ভারত হারতো না। কথাটা সত্য কি অসত্য সেটা আপনাদের বিবেচ্য। কিন্তু রোহিত নিশ্চিই এই বার্তার পাল্টা জবাব দিতে চাইবেন দ্বিতীয় টেস্ট জিতেই। বাজবল বিষয়টি অবশ্য টেস্টের জন্য খুব একটা ভালো বিজ্ঞাপন কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যেখানে ওয়ানডের মেজাজে ইংল্যান্ড দল খেলতে গিয়ে পাঁচ দিনের টেস্টের মাহাত্ম কমে যাচ্ছে। ভারতের কোচের হটসিটে থাকা দ্রাবিড় ভালোই জানেন বাজবল রোখার টোটকা। এখন দেখার বিশাখাপত্তনম টেস্টে দ্রাবিড়ের টোটকা কাজে লাগিয়ে ইংরেজ বধ করে সিরিজে সমতা ফেরাতে পারেন কিনা টিম ইন্ডিয়া।