ঋক পুরকায়স্থ, সাংবাদিক: দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের পূর্বে আবহাওয়ার পাশাপাশি উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল। সোমবার দুপুরে ঘাটাল ও মেদিনীপুরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকে অংশ নেবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুরে তৃণমূলের জুন মালিয়ার বিপক্ষে বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল এবং অপরদিকে ঘাটালে তৃণমূলের দীপক অধিকারীর বিরুদ্ধে বিজেপির হিরন। ঘাটালে তারকা বনাম তারকার লড়াই। তবে গত দুবারের সংসদ দেব।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ঘাটালে তৃণমূলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল সিপিআই। দেবের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬,৮৫,৬৯৬টি। সিপিআই এর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪,২৪,৮০৫টি সে বছর দেব ২,৬০,৮৯১ ভোট জয়যুক্ত হন। তবে এই ভোটের ব্যাবধান ২০১৯ সালে অনেকটাই কমে যায়। ২০১৯ সালে দেবের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির ভারতী ঘোষ। দেবের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৭,১৭,৯৫৯ এবং বিজেপির ভারতী ঘোষের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬,০৯,৯৮৬। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে দেবের প্রাপ্ত ভোট বেশি হলেও ভোটের ব্যাবধান ২০১৪ তুলনায় কমে হয় ১,০৭,৯৭৩। এক ধাক্কায় ২,৬০,৮৯১ থেকে ১,০৭,৯৭৩ হয় দেবের জেতার ব্যাবধান।
অপরদিকে, মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৪ সালে তৃণমূলের সন্ধ্যা রায় প্রার্থী ছিলেন। এবং বিপরীতে সিপিআই এর প্রার্থী প্রবোধ পান্ডা। সেবছর তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫,৮১,৮৬০ ও সিপিআই এর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩,৯৫,১৯৪টি। তৃণমূল সেবছর ১,৮৬,৬৬৬ ভোটে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র বিজয়ী হয়। কিন্তু ২০১৯ সালে মেদিনীপুরে তৃণমূলের ছন্দপতন হয়। এ বছর তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মানুষ ভুঁইয়া এবং বিপরীতে বিজেপির দিলীপ ঘোষ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫,৯৬,৪৮১টি এবং বিজেপির দিলীপ ঘোষের প্রাপ্ত ভোট ৬,৮৫,৪৩৩টি। দিলীপ ঘোষ ২০১৯ সালে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে ৮৮,৯৫২ ভোট জয়ী হন।
অর্থাৎ একদিকে মেদিনীপুর অপরদিকে ঘাটাল। দুটি কেন্দ্রেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির অস্তিত্ব ব্যাপক ভাবে চোখে পড়ে। সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ঘাটালে ভোটের ব্যবধান বাড়ানো ও মেদিনীপুরে অগ্নিমিত্র পালের বিরুদ্ধে জুন মালিয়ার জয় সুনিশ্চিত করা। সংগঠনকে মসৃণ করে তোলা ও ভোকাল টনিকের মাধ্যমে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যেই এই ঘরোয়া বৈঠক।