ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক : বারো ক্লাস বা দ্বাদশ শ্রেনীর পরীক্ষা পাশ না করলে মুসলিম মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবে না। এই দাবিতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারী নাজিয়া ইলাহি খানের দাবি ছিল, বয়সন্ধিতে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই মুসলিম মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। তাই তারা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মামলায় তিনি দাবি করেছেন, সাধারণত ১২ বছর বয়স হওয়ার পর থেকেই মুসলিম মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মুসলিম মেয়েরা। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে মামলাকারীর তরফে দাবি করা হয়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্য স্কুল শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বিষয়টি নিয়ে চিঠি দেওয়ার পরও কোনও সুরাহা হয়নি। ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছিল মুসলিম মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রে ১২ ক্লাস পাশ বাধ্যাতামূলক করা হোক। এনিয়ে রাজ্যে নতুন আইন করা হোক। কারণ অনেক নাবালিকা মুসলিম মেয়ে অনিচ্চা সত্ত্বেও পরিবারের চাপে নিকহার পাঠ পড়তে বাধ্য হচ্ছে। তারা শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। ওই চিঠির পরও কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় মামলাকারী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
যদিও বিষয়টি শোনার পর মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, বিষয়টি রাজ্য সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের পর্যায়ে পড়ে। এক্ষেত্রে আদালত বিষয়টি নিয়ে এভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।