ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : হাওড়ায় একটি বেআইনি নির্মাণের জেরে সংশ্লিষ্ট প্রমোটারকে এক কোটি টাকার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই অর্থ না দিতে পারলে পরে তাঁকে জমির দলিল জমা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কিন্তু নির্দেশের পরও জরিমানার অর্থ বা জমির দলিল কোনটাই জমা রাখেননি ওই প্রমোটার। যা শুনে ওই প্রমোটারকে আদালতে ধরে আনার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। বিচারপতির নির্দেশ হাওড়া থানার আইসি আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে ওই প্রমোটারকে আদালতে হাজির করবেন।
হাওড়ার কালীপ্রসাদ চক্রবর্তী লেনে কোনরকম অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হয়েছিল একটি ৫ তলা আবাসন। শুধু তাই নয়, সেই আবাসনটিতে প্রত্যেকটি ফ্ল্যাট ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দরে বিক্রি করে দেয় প্রোমোটার। সেই প্রোমোটারকে ১ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ২৯ মার্চের মধ্যে ক্ষতি পূরণের অর্থ জমা দেওয়ার কথা ছিল সেই প্রোমোটারের। কিন্তু বিচারপতি সিনহার এজলাসে সেই প্রোমোটার এসে জানায় তিনি ক্ষতিপূরণের অংক দেওয়ার মত পরিস্থিতি নেই। কিন্তু বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে কোন রকম কোন রকম আপোষ করতে নারাজ বিচারপতি সিনহা। এ ব্যাপারে প্রোমোটার কে কোনরকম ছাড় দিতে নারাজ তিনি। প্রমোটারকে নিজের জমির দলিল জমা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। বলেছিলেন, প্রয়োজনে ওই জমি বিক্রি করে ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় করা হবে। এছাড়াও প্রোমোটারের ব্যাংক একাউন্টের সমস্ত তথ্য এবং সম্পত্তির যাবতীয় তথ্য হাইকোর্টের জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। কিন্তু হাইকোর্টের কোনও নির্দেশই মানেননি ওই প্রমোটার। তাই এবার তাঁকে ধরে আনার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
অন্যদিকে, কলকাতার বেলেঘাটা এলাকায় একটি বেআইনি নির্মাণ খালি করে দিতে এদিন কলকাতা পুলিস কমিশনার ও বেলেঘাটা থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। ওই বিল্ডিংটি বেআইনিভাবে কোনও অনুমোদন প্ল্যান ছাড়াই তৈরি হয়েছিল। এরপর সেটি বিক্রি করে দেয় প্রমোটার। এদিন মামলার শুনানির পর ওই বেআইনি নির্মাণটি দখল মুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। নির্মাণটি দখল মুক্ত হলে সেটি পুরসভাকে ভেঙে ফেলতে হবে বলেও নির্দেশে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি সিনহা।