নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: দেশ জুড়ে চলছে লোকসভা ভোটের মহাযুদ্ধ। সারা দেশের ৫৪৩ টি আসন নিয়ে চলছে ব্যালট বক্সে লড়াই। কার পাল্লা ভারী কে বসবে মসনদে তা পরিস্কার হয়ে যাবে ৪জুন। সারা দেশের থেকে বঙ্গের ভোট একটু আলাদা। পৃথক এখানকার ভোট প্রচারের ডায়ালকে।
দেশ জুড়ে চলছে লোকসভা ভোটের মহাযুদ্ধ। সারা দেশের ৫৪৩ টি আসন নিয়ে চলছে ব্যালট বক্সে লড়াই। কার পাল্লা ভারী কে বসবে মসনদে তা পরিস্কার হয়ে যাবে ৪জুন। সারা দেশের থেকে বঙ্গের ভোট একটু আলাদা। বাংলার ভোটে রাজনৈতিক ব্যক্তি হোক বা প্রার্থী প্রত্যেকেই নিজেদের কোনও না কোনও ভাবে বিখ্যাত। একটা সময় ছিল বাংলায় ভোট মানেই সংবাদ মাধ্যমের নজর থাকত বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল বা কামারহাটির মদন মিত্রের দিকে। তবে পরিস্থিতি এখন কিছুটা বদলেছে। অনুব্রত এখন জেলে। অন্যদিকে রাজনীতিতে থাকলেও কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছেন মদন মিত্র। তবে বাংলার ভোট অন্য রাজ্যের তুলনায় একটু হলেও অন্যরকম। বঙ্গে ভোট তো শুধু ভোট নয়, রাজনীতির মহাযুদ্ধ। আর এই মহাযুদ্ধে কর্মী ও রাজ্যবাসীদের উদ্বুদ্ধ করতে শত্রু শিবিরের উদ্দেশে হুঙ্কার, হুঁশিয়ারি, কটাক্ষ থাকবে না তা আবার হয় নাকী! তাই ভোট প্রচারের ময়দানে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে সংলাপের উত্তাপ। একদিকে মোদি তো অন্যদিকে মমতা। একে অপরকে সংলাপের বাক্য বানে মাত দেওয়ার চেষ্টায়। যেমন বঙ্গে পা রেখে ধর্মের বাঁশিতে ফুঁ দিত দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।
অন্যদিকে, তাঁকে ‘কুচুটে’ বলে কটাক্ষ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলীপের উদ্দেশে আবার কান পাতলেই জনতার কন্ঠে শোনা যাচ্ছে ‘হাউ ইজ দ্য জোশ। দিলীপ ঘোষ দিলীপ ঘোষ।” অন্যদিকে চোখা শব্দবাণে পিছিয়ে নেই দিলীপ ঘোষও। তার হুমকি ভরা সংলাপ কখনও পুলিশের প্যান্ট খোলার তো কখনও থানা জ্যাম করার। সব মিলিয়ে বাংলার বাতাস ভরে উঠেছে চোখা চোখা শব্দকোষে। অপর দিকে এই শব্দকোষে জমা হচ্ছে মিঠুনেরও শব্দবাণ। ২১এর মতো যদিও জাত গোখরোর ছোবল না মারলেও ২৪ র ভোটেও তিনি চোখা শব্দ সংলাপে সংবাদের পাতায় জায়গা করে নিয়েছেন।৷ তার সংলাপ “চিমটি কাটব এখানে। আর লাল পিঁপড়ের মতো জ্বলবে এখানে-ওখানে-সেখানে।” এই ভাবেই সংলাপের মাধ্যমে একে অপরকে বিঁধে চলছে বঙ্গের ভোট ও প্রচার।
আরও পড়ুন : বাণিজ্যনগরীতে ধূলিঝড়ে মৃত ১২