তৃণমূল কংগ্রেসের পরামর্শদাতা সংস্থার এরাজ্যের প্রধানকে দলের মুখপাত্রের পদে বসানোর দাবি তুললেন কুনাল ঘোষ। শুক্রবার সকালেই সোশাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে পোষ্ট করে এই দাবি তুলেছেন তিনি।
সঞ্জু সুর, সাংবাদিকঃ বুধবার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার আরেকটু কড়া হয়ে দলের তারকা প্রচারকের নামের তালিকা থেকেও বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। আর তিনি নিজেই মাস দুয়েক আগে দলের মুখপাত্রের পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে গিয়েছিলেন। কুনাল ঘোষের নিজের কথামতো এখন তিনি শুধুই একজন সাধারণ তৃণমূল কর্মি ও সমর্থক। এহেন কুনাল ঘোষ দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে শুক্র সকালে দাবি তুললেন দলের পরামর্শদাতা সংস্থার প্রধান কে দলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্রের পদে বসানো হোক।
এক্স হ্যান্ডেলে দলকে ট্যাগ করে কুনাল ঘোষ লিখেছেন, ” তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক হিসাবে দলকে আমার সবিনয় অনুরোধ, ‘অপদার্থ’ ও ‘দলবিরোধী’ কুণাল ঘোষের শূন্যপদে মুখপাত্র ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আইপ্যাকের প্রতীক জৈনকে নিয়োগ করা হোক। দলটা ওরা এত ভালোভাবে চালাচ্ছে যে সংগঠনিক পদও প্রতীকের প্রাপ্য। দলের মঙ্গল হোক।” কুণাল ঘোষের এই ইঙ্গিতপূর্ণ পোষ্ট সামনে আসতেই দলের এক বর্ষীয়ান মন্ত্রী ফোন করে জানালেন, “কালকে তো মনে হচ্ছিল কুণাল ঘোষ দিদিকেই ঘুরিয়ে আক্রমণ করছে। কিন্তু আজ হঠাৎ প্রতীক কে আক্রমণ করে ও কি বোঝাতে চাইলো যে ওর আক্রমণের লক্ষ্য আসলে অভিষেক।” একথা কেন বলছেন জানতে চাইলে ওই মন্ত্রী বললেন, “আরে বাবা প্রতীকের নিয়োগকর্তা কে ? প্রতীককে আক্রমণ করা মানে তো সেই নিয়োগকর্তাকেই আক্রমণ করা।”
এদিকে কুণাল ঘোষের এই পোষ্ট নিয়ে পরামর্শদাতা সংস্থার এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্মি জানালেন তারা শুধুই দলের পরামর্শদাতা হিসাবেই কাজ করেন, তাঁর বক্তব্য, “আমাদের সংস্থা দলের কোনো নীতিগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় না। আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি। সেইমতো কাজ হচ্ছে কি না সেটা নিশ্চিত করি। স্ট্রাটেজি তৈরি করি। কিন্তু কোনোভাবেই কে কোন পদে থাকবে বা থাকবে না, সেটা ঠিক করি না। এটা সম্পূর্ণভাবেই দলের নেতৃত্ব স্থির করে।” কুনাল ঘোষের আজকের পোষ্ট এর পর দল আরও বড় এবং কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন: সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূল সরকারের তীব্র সমালোচনা প্রধান বিচারপতির