সাংবাদিক : সুচারু মিত্র কেন্দ্র বদল নিয়েই প্রথম থেকেই তার অভিযোগ ছিল। অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তার পরেও দলের অনুগত সৈনিক হিসাবে বর্ধমান- দুর্গাপুর কেন্দ্রে লড়াইয়ে নেমেছিলেন।সকলেই হয়তো ভেবেছিলেন প্রত্যেকবার এর মতো এবারও কাঙ্খিত জয়ের লক্ষ্যে যাবেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু হল একেবারে উল্টোটা বর্ধমান- দুর্গাপুরে কীর্তি আজাদের কাছে গো হারান হেরে গেলেন দিলীপ ঘোষ।১ লক্ষেরও বেশি ভোটে পরাজয় ঘটলো তার।আর তার পরেই বিষ্ফোরক বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।উঠে এল তার সময়কালের প্রসঙ্গ।তার সাজানো বঙ্গ বিজেপি যে আর নেই সেটা ঘনিষ্ঠ মহলে আবার স্বীকার করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন এর জন্য দায়ী পার্টির পলিসি আর মানুষের মন ঠিকভাবে বুঝতে পারেনি দল।যাকে যেখানে প্রার্থী করলে ফলাফল আরও ভালো হতো ঠিক তার উল্টোটা করা হয়েছে।একেবারে দল নিয়ে এমনি মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। শুধু তাই নয় দাবাং এই নেতাকে পছন্দ করেন বঙ্গের অনেকেই। কিন্তু বর্ধমান- দুর্গাপুরের কার্যত ভরাডুবিতে পেছনে হাত রয়েছে বিজেপির একটা বড় অংশের। অনেকেই চাননি দিলীপ ঘোষ নির্বাচিত হোক। কাঠিবাজি হয়েছে বলেও এমন তত্ত্বও খাড়া করলেন দিলীপ ঘোষ।তাহলে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত?…আর কাঠিবাজি বলতে তিনি দলের কোন নেতার বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেন তার নিয়েও এখন রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।তবে তিনি বললেন সময়ের সাথে সাথে আবার দল নিশ্চয়ই ভালো জায়গায় যাবে পশ্চিমবঙ্গে সেই বিশ্বাস তিনি রাখেন।তবে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আর নেতৃত্বে যে বদল দরকার সে কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন : দলবদলু-দের শিক্ষা দিলো রাজ্য। শাসক বিরোধী দুই দলের প্রার্থীরাই হারলেন