নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : ফের নয়া নিয়ম আনছে ইউজিসি। স্নাতকোত্তর নিয়ে আবারও নতুন গাইডলাইন প্রকাশ ইউজিসির। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে শিক্ষক মহলের। নয়া শিক্ষানীতি অনুযায়ী বলা হয়েছিল শুধু মেজর বিষয়ে নয়, কোনও শিক্ষার্থীর ইচ্ছে হলে মাইনর বিষয়েও স্নাতকোত্তর কোর্স করতে পারবেন। তবে এবার নতুন নিয়মে বলা হল, মেজর বা মাইনর বিষয়ে তো বটেই, যেকোনও বিষয়েই চাইলে স্নাতকোত্তরের কোর্স করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। তবে তার জন্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা সর্বভারতীয় প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হতে হবে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের। এর আগে চার বছরের স্নাতক (অনার্স বা অনার্স রিসার্চ) কোর্স চালুর সময়েই ইউজিসির তরফ থেকে জানানও হয় স্নাতকে ৭৫ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর থাকলে কোনও পড়ুয়া গবেষণাভিত্তিক স্নাতকোত্তর পড়তে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই এক বছরের কোর্স হবে তাঁর। অন্যদিকে যে সকল ছাত্রছাত্রীরা তিন বছরের স্নাতক কোর্স করেছেন, তাঁরা পড়বেন দু’বছরের স্নাতকোত্তর। সেক্ষেত্রে অবশ্যই পরবর্তী একটি বছর গবেষণার জন্য নিয়োজিত থাকবে।
ইউজিসির নয়া নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড স্নাতক/স্নাতকোত্তর কোর্স থাকছে। এর পাশাপাশি, দু’বছরের মাস্টার ডিগ্রিতে একটি ‘এগজিট পয়েন্ট’ও থাকছে। এক বছর সফলভাবে কোর্স করার পরে কেউ যদি স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা ছেড়ে দিতে চান, তাহলে তিনি সেটা পারবেন। তাঁকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমার শংসাপত্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে সেক্ষেত্রে।
এছাড়াও কোনও ছাত্র বা ছাত্রী রেগুলার কোর্সে একসঙ্গে দু’টি মাস্টার ডিগ্রি করার অনুমতিও দিয়েছে তারা। এই নয়া নিয়ম ঘিরে ক্ষুব্ধ শিক্ষকমহলের একাংশ। তাদের বক্তব্য , কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বর্তমান পরিকাঠামো এবং লোকবলকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করেই নয়া নীতি চাপিয়ে দিচ্ছে ইউজিসি। পাশাপাশি একই সঙ্গে এক বছর এবং দু’বছরের স্নাতকোত্তর কোর্স চালাতে গেলে স্নাতকোত্তর করা যায় সেই সব কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি হিমশিম খাবে। আবার স্নাতকে ছিল না কিন্তু প্রবেশিকা দিয়ে নতুন কোনও বিষয় নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়তে আসা পড়ুয়াদের পুনরায় গড়েপিটে নিতেও সমস্যা হবে বলে মত তাঁদের। তবে নয়া এই নীতি নিয়ে বেশ খুশি শিক্ষার্থীদের একাংশ।
আরও পড়ুন : অভিশপ্ত ট্রেনে চিরঘুমে বাবা, বাড়িতে জন্মদিনের অপেক্ষায় মেয়ে