ঋক পুরকায়স্থ, প্রতিনিধি: শহর কলকাতার দিকে দিকে কাউন্সিলরদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মঙ্গলবার রাত নটায় কলকাতা পুরসভার ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বরাজ মন্ডল নিজের পার্টি অফিসে যান। লোকসভা নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডে খারাপ ফলাফল নিয়ে মূলত এই বৈঠক ছিল। তবে সেখানে কর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর সেটি হাতাহাতিতে পরিণত হয়। মাথা ফাটে ও কান ফেটে রক্ত বেরোয় কাউন্সিলরের। তবে একশ দশ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বরাজ মন্ডলের অভিযোগের তীর ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর দিকে। শনিবার এই দুই কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে শোকত নোটিশ পাঠায় তৃণমূল।
তবে এর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার অন্তর্গত এক নম্বর ওয়ার্ডে শুরু হয় রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। একুশের নির্বাচনের পর এই ওয়ার্ডের নবনিযুক্ত কাউন্সিলর হন পিন্টু দেবনাথ এর আগে ছিলেন পাপিয়া হালদার। দুপুর ১২ টো একটা নাগাদ কয়েকজন দুষ্কৃতী লাঠি হাতে হামলা করে এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু দেবনাথ এর পার্টি অফিসে। তবে যে খবরটা জানা যাচ্ছে তিনি গত দুদিন ধরে পার্টি অফিসে আসেননি তার পরিবারের একজনের সেরিব্রাল অ্যাটাক হওয়ায় তিনি হাসপাতালে ছিলেন। তার অবর্তমানে তার পার্টি অফিস হামলার নেপথ্যের কারণ ঠিক কি? তা এখনও অজানা। তবে অনেকের মতে এক নম্বর ওয়ার্ডের পার্টি অফিসটি, সরকারি জমিতে তৈরি হয়েছিল। আর তার থেকে বিবাদের সূত্রপাত। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে নরেন্দ্রপুর থানা। কিছুদিন আগেই সরকারি জমি দখল নিয়ে করা বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই পুলিশের তরফ থেকে সরকারি যে সমস্ত জমি জবরদখল করে বিভিন্ন নির্মাণ তৈরি হয়েছে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মূলত সেই কারণেই কি কাউন্সিলারের অবর্তমানে তার পার্টি অফিসে হামলা? উঠছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
আরও পড়ুন : NEET কেলেঙ্কারির প্রভাব কলকাতায়, বিক্ষোভে ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দল