২০২৩ সালের জুন মাস আর ২০২৪ সালের জুন মাস, এই দুটো মাসের মিল একটাই, ট্রেন এক্সিডেন্ট। গতবছরের জুন মাসে উড়িষ্যার বাহানাগায় করমন্ডল এক্সপ্রেস সাক্ষী ছিল শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার আর এই বছর জুন মাস ফিরিয়ে আনলো সেই স্মৃতিকে। সোমবার শিয়ালদা গামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস যেরকম ভাবে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হল তাতে করে রেলের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল আরও একবার।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে সোমবার যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে তাতে এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। ট্রেনটির পেছন থেকে এসে ধাক্কা দেয় এক মালগাড়ি। বলা হচ্ছে ট্রেন চলছিল পেপার লাইন ক্লিয়ারেন্স অনুসারে। এবার প্রশ্ন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস যে লাইনে সেখানে মালগাড়ি এল কীভাবে?
রেলের তরফে এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে মালগাড়ির চালককে। রেলের দাবি, মালগাড়ির চালক সিগন্যাল না মেনেই এগিয়ে যান। তার জেরে দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানে ওঠার আগে তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস আমার আমলেই এসেছিল। এখন অন্য নাম করে দিয়েছি শুধু। রেল এখন পুরোপুরি পেরেন্টলেস।” পৌঁছে গিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও।
রাঙাপানি স্টেশন পেরিয়ে নীচবাড়ি এবং চটেরহাটের মাঝখানে ফাঁকা জায়গায় এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ মালগাড়িটি এত তীব্র গতিতে ছিল যে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনের দিকের দুটি কামরা ছিটকে গিয়ে রেল লাইনের পাশে পড়ে৷ দুমড়ে মুচড়ে যায় দুটি কামরাই৷
প্রতিবার বাজেটে রেলের জন্য বরাদ্দ হয় কোটি কোটি টাকা। এর আগে বাহানাগাতে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার সময় বলা হয়েছিল কবচ প্রযুক্তির কথা কিন্তু এক্ষেত্রে কেন সেটা কাজ করলো না? কেন বারবার কোন একটি লাইনে ট্রেন থাকা সত্ত্বেও অন্য ট্রেন সেখানে ঢুকে পড়ছে? কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে এই দুর্ঘটনার জন্য যে আটটি প্রাণ অকালে চলে গেল তারাও কিন্তু এই প্রশ্ন তুলে দিয়েই গেল, কিন্তু উত্তর? সেটা আদৌ মিলবে তো!
আরও পড়ুন : ট্রেন দুর্ঘটনায় বাতিল ৫ ট্রেন, বিকল্প পথে ১২