রিয়া দাস, প্রতিনিধি : বেসমেন্টে চলছিল ইউপিএসসির কোচিং সেন্টার। ভারী বৃষ্টি শুরু হতেই হু হু করে ঢুকতে শুরু করে জল। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি তিন পড়ুয়া। বেসমেন্টে জলে ডুবে ৩ আইএসএস পরীক্ষার্থীর অকালমৃত্যুর পর থেকে বর্ষায় অব্যবস্থা নিয়ে তপ্ত দিল্লি।
দিল্লির রাজেন্দ্রনগর এলাকায় আইএএস কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে বেআইনি ভাবে তৈরি করা হয়েছিল লাইব্রেরি। ঘটনার দিন অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের অম্বেদকর নগরের শ্রেয়া যাদব, তেলেঙ্গানার তানিয়া সোনি, ও কেরলের এর্নাকুলামের নবীন ডালউইন সেখানেই ছিলেন। কিন্তু, বেসমেন্টে যখন হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে, তখন তাঁরা আর সেখান থেকে বেরতে পারেননি। বেসমেন্টেই সলিল সমাধি হয় তিন আইএসএস পড়ুয়ার।
২৭ জুলাই শনিবার পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। ইতিমধ্যেই বেসমেন্ট যে সংস্থাগুলি বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দিল্লির মেয়র। পুরনো রাজেন্দ্র নগরের ঘটনার জন্য কোনও এমসিডি কর্তা দায়ী থাকলে তা নিশ্চিত করতে ও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ মেয়রের।
ইউপিএসসি কোচিং সেন্টারের মালিক ও কোঅর্ডিনেটরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমসিডি ২৮ শে জলুাই জানিয়েছেন, রাজেন্দ্রনগর এলাকার ঘটনার পরেই তাঁরা অন্য ১৩ টি কোচিং সেন্টারের বেসমেন্ট সিল করে দিয়েছে।
কোচিং সেন্টারের বেআইনি কাজের বিরোধীতায় দিল্লিতে বিক্ষোভ অব্যাহত। কোচিং সেন্টারে বেসমেন্টে জল ঢুকে তিন পড়ুয়ার মৃত্যুর পর থেকেই কোচিং সেন্টারে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে অন্য পড়ুয়ারা।
দিল্লির কোচিং সেন্টারে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭। যার মধ্যে এক গাড়ি চালকও রয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তার গাড়ির ধাক্কাতেই সেদিন কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টের দরজা ভেঙে গিয়ে এই বিপত্তি।
আরও পড়ুন : দুর্ঘটনার কবলে হাওড়া মুম্বই এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনায় মৃত ২ আহত ৬০। বাড়তে পারে আহতের সংখ্যা, আশঙ্কা প্রশাসনের