ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক: পুকুর ভরাট (Pond Filling) হচ্ছে দিনে দুপুরে। বারে বারে পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে কোনো লাভ হয়নি। নাদিয়াল থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মেয়রকে ফোন করলেন জনৈক নাগরিক। থানার নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে লালবাজারে পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাতে চলেছে কলকাতা কর্পোরেশন। পৌর আধিকারিকদের নির্দেশ দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতার জলাশয় এমনই কমে তলানিতে ঠেকেছে। গুচ্ছ অভিযোগ পুকুর ভরাটের। সেসব ঠেকাতে জি এস ম্যাপিং শুরু করেছে কলকাতা কর্পোরেশন। জলা ভারত রুখতে যথেষ্ট ক্ড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ। তবে কোথায় কি? সেই বার্তা অসাধু জমি মাফিয়াদের কানে ঢোকেনি। এদিন টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে নদিয়াল থানা এলাকার মেটিয়াবুরুজের বাদীন্দার অভিযোগে আরো একবার স্পষ্ট হল।
জনৈক নাগরিকের অভিযোগ, দিনে দুপুরে ভরাট হচ্ছে বিরাট জলাশয়। এতটাই বড় যে রাতারাতি নয় ধাপে ধাপে প্লটের মতো করে ভরাট চলছে পুকুর। একাধিকবার এই ভরাট রুখতে স্থানীয়রা নদীয়াল থানার দ্বারস্থ হলেও কোনো কাজ হয়নি। ভরাট হওয়া জমিতে হচ্ছে বেআইনি নির্মাণ। এই অভিযোগ শুনেই লালবাজারের কাছে ওই থানার পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জমা করতে নির্দেশ দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এদিন এই প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, যদি বার বার করে লিখিত অভিযোগ করে দেখি পুলিশ কাজ করছে না তাহলে তার ভিত্তিতে আমরা পুলিশ কমিশনারকে জানাব। অভিযোগ করার পরেও কর্ণপাত করছে না। এটা শুধু কলকাতা কর্পোরেশনের নয় পুলিশের দেওখারও দায়িত্ব যে কোন পুকুর ভরাট হচ্ছে কোনটা হচ্ছে না। এর পরেই ফিরহাদ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুরে বলে, পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ রাজনৈতিক দল দেখায়। কোনো রাজনৈতিক দলের দাদার নামে তো বোর্ড নেই যে সে পুকুর ভরাট করছে। একটা ভাবনা। তিনি সাফ জানান, পুলিশের কাজ হলো এটা দেখার যে পুকুর কে ভরাট করছে। তাকে গ্রেপ্তার করা। সেই কাজটা তুমি করবে। অনেক থানা করে। দুবার থানায় অভিযোগ করে কোনো ব্যবস্থা না নিলে ওই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে লালবাজারে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছি।
আরও পড়ুন : জগন্নাথ দেবের রথে শঙ্খচূড় !