ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: হাই কোর্টের কোনও এজলাসেই শুনানির সময় তাঁরা উপস্থিত হননি। অধিকাংশ মামলায় রাজ্য সরকারের হয়ে আইনজীবীকে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।
মাসের শুরুতে তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের ওই বয়কটের ফলে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) শুনানির কাজ ব্যাহত হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে একাধিক মামলা শুনানি জন্য ডাকা হলেও আইনজীবীদের এক পক্ষ হাজির হননি। একই অবস্থা দেখা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য, বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েক, বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর এজলাসেও।
বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ বসেও উঠে যায়। এছাড়া অনেক মামলায় শুনানি না করে বাধ্য হয়ে ফিরে যান হাই কোর্টের অনেক বিচারপতি। শুনানি না হওয়ায় বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মামলাকারীরাও ফিরে যান।
নতুন আইনের বিরোধিতা করে তৃণমূলের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসুমল্লিক বলেন, “আইনজীবীরা ওই তিন আইন মেনে নিলে বিচারব্যবস্থায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হবে। আইনজীবীদের মতামত ওই আইনে প্রতিফলিত হয়নি। এক তরফা ভাবে ওই আইন পাশ করানো হয়েছে। এই আইন কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধন করা উচিত।”
আইনকে সমর্থন না করলেও কোর্ট চলতে দেওয়া উচিত বলে দাবি করছেন বামপন্থী আইনজীবীরা। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেন, “আমরাও এই আইনকে সমর্থন করি না। তবে এই ভাবে কোর্ট বয়কট করার বিরোধিতা করছি। এক দিন কোর্ট বয়কট করে মোদী সরকারের এই আইনগুলিকে রোখা যাবে না। উপযুক্ত জায়গায় প্রতিবাদ জানাতে হবে।
গত সপ্তাহে রাজ্য বার কাউন্সিল ওই তিন আইনের বিরোধিতা হাই কোর্টের শুনানি বয়কটের ডাক দেয়। তার বিরোধিতা করে মামলা করে বিজেপি। আদালত জানিয়েছিল, জোর করে কাউকে বয়কটে অংশ নিতে বাধ্য করা যাবে না।
আরও পড়ুন : দারুন স্কোয়াড মোহনবাগানের-এবারও চমকাবে মোহনবাগান