সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- হাথরসের মৃত্যু মিছিল ক্রমবর্ধমান। মর্গে মৃতদেহের পাহাড়। দেহ বেয়ে গড়াচ্ছে রক্ত। বীভৎস এই দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হল এক পুলিশ কনস্টেবলের। ডিউটি করার সময় একের পর এক রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখে হঠাৎই বুক ধড়ফড় শুরু হয় রবি কুমার নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের। অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ইউনিফর্মের শার্ট খুলে ফেলেন তিনি। সহকর্মীরা ওই এলাকা থেকে তাঁকে অন্যত্র এসি ঘরে নিয়ে গেলেও শেষমেশ বাঁচানো যায়নি তাঁকে। হাথরসের মর্গেই কর্তব্যরত কনস্টেবলের মৃত্যু হয়।
এটাহ জেলার আওয়াগড় থানার কনস্টেবল রবি কুমারকে ডিউটিতে পাঠানো হয়েছিল হাথরসের মর্গে। সেখানে “ভোলেবাবার” ধর্মসভায় পদপিষ্ঠ হওয়া মৃতদেহগুলি নিয়ে আসা হয়। এখনও পর্যন্ত মৃত ১২১ জন। সেই রক্তাক্ত দেহগুলি একে একে আনা হচ্ছিল মর্গে। কিউআরটি ডিউটিতে ছিলেন রবি কুমার। ওয়ারলেসে পদপিষ্ট হওয়ার খবর পেয়েই তাঁকে এটাহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। ডিউটিতে যাওয়ার পরই এত মৃতদেহ দেখে অসুস্থ বোধ করেন রবি কুমার। শরীরে অস্বস্তি হওয়ায় শার্টও খুলে ফেলেন তিনি। সহকর্মীরা তাঁকে মর্গের থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে এসি ঘরে বসায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় রবি কুমারের। হার্ট অ্যাটাকেই মৃত্যু হয়েছে ওই পুলিশ কর্মীর বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। একসঙ্গে এত মৃতদেহ দেখে অসুস্থবোধ করেন তিনি। তারপরেই হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর।
আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশের ‘ভোলেবাবা’ র পদধূলি নিতে গিয়ে পদপৃষ্ঠ হয়ে মৃত ১২১।