চাকরিতে কোটা বাতিল করার দাবিতে রক্তাক্ত হয়েছে বাংলাদেশের রাজপথ। সেই রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের পর এবার সাইবার হানায় বেসামাল শেখ হাসিনা এবং পুলিশের দফতর। উল্লেখ্য বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন পরিস্থিতিতে আরও শক্ত অ্যাকশন নিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি করবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর সেই বার্তার পরেই শুরু হয়ে গেল হ্যাকারদের আক্রমণ। সরকারের একের পর এক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এখন হ্যাকারদের দখলে।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করে ফেলল হ্যাকাররা! সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ খবরটি প্রকাশ্যে আসে। সোমবার রাতে দেখা যায় , প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইটের ওপরে লেখা ‘Hacked by The Resistance’। শুধু প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ওয়েবসাইট নয়, কয়েকদিন আগে হ্যাক হয়, বাংলাদেশের একটি ব্যাঙ্কের সাইটও। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ওয়েবসাইটের তথ্যগুলিও বদলে দেয় হ্যাকাররা। যেমন সেখানে যে কোনো জায়গায় ক্লিক করলে দেখা যাচ্ছে ‘অপারেশন হান্টডাউন’ । এদিকে আবার সেই সাইট জুড়ে দেখা যাচ্ছে অজ্ঞাত নানা ব্যক্তির ছবি।
এখনও অবধি যেরকমটা জানা গেছে যে হ্যাক করল ‘R3SIST3NC3’ নামক একটি হ্যাকার গোষ্ঠী এই কাজ করেছে। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে এই গোষ্ঠী হুমকি বার্তা দিয়ে লিখেছে, ‘এটা আর কোনও আন্দোলন নয়, এট যুদ্ধ’। এছাড়াও অন্য একটি বার্তায় লেখা, অপারেশন হান্টডাউন, ছাত্রদের মারা বন্ধ করুন। হ্যাকার গোষ্ঠী আরও লিখেছে, ‘আমাদের সাহসী ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে দমানোর জন্য সরকার এবং সরকারের রাজনৈতিক বন্ধুরা নৃশংস সহিংসতা সংগঠিত করেছে। তারা হত্যালীলা চালিয়েছে। এটা আর নিছক প্রতিবাদ নয়; এটি ন্যায়ের জন্য, স্বাধীনতা জন্য, ভবিষ্যতের যুদ্ধ।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটার সিংহভাগ বরাদ্দ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য। আর সেই বরাদ্দ কমানোর দাবিতেই অনড় পড়ুয়ারা রাজপথে পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছেন।আন্দোলন ও বিক্ষোভ দমাতে সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন ছাত্র লীগ মারমুখী নীতি নিয়েছিল। প্রথমে তাদের হামলা হলেও পরবর্তীতে আন্দোলনকারীদের পাল্টা মারে আরও রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এবার এই ওয়েবসাইট হ্যাক নিয়ে পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটাই দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন : আইএনএস ব্রক্ষ্মপুত্রে অগ্নিকাণ্ড, নিখোঁজ এক নাবিক