ওয়েব ডেস্ক: ইউরো কাপ সেমি ফাইনালে ফ্রান্সকে ১ গোলে হরিয়া ফাইনালে উঠে গেলো স্পেন। স্পেনের হয়ে গোল করেছেন লেমিনে ইয়ামাল ও ড্যানি আলমো। ফ্রান্সের হয়ে গোল করলেন মুয়ানি।
১৬ বছর বয়সী লেমিনের কাছে হার মানল এমবাপেরা গত রাতের ইউরো কাপের সেমি ফাইনালে। বয়সে নাবালক হলেও তিনি যে খেলায় সাবালক তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তিনি যে খেলাটা খেলেন তা অবাক করার মতো। বারংবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন তিনি। তার গোলে পিছিয়ে পড়ে ফ্রান্সকে হারালো স্পেন এবং ফাইনাল ওঠার দরজা খুলে গেলো তাদের জন্য। এরসাথে তিনি হলেন ইউরোর ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা। তবে এই ইউরো কাপে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফর্মে দেখা গেলো কিলিয়ান এমবাপেকে। এমবাপের আগের মেজাজে ফিরে আসা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হলো না ফ্রান্সের।
মিনিটে মিনিটে খেলার রং বদলে যাচ্ছিল। গত ম্যাচে চোট পাওয়ার পরে ফেস গার্ড পড়ে খেলেছিলেন ফ্রান্স তারকা এমবাপে। কিন্তু সেমি ফাইনালের ম্যাচে তিনি ফেস গার্ড ছাড়া খেলতে নামেন এবং সেই পুরোনো চেনা ছন্দে তাকে দেখা যায়। খেলার প্রথম ৫ মিনিটের মাথায় স্পেনের কাছে প্রথম গোল করার সুযোগ ছিল ইয়েমেনের হাতে। স্পেনের সেই সুযোগ নষ্টের পর ফায়দা তোলে ফ্রান্স। বাম প্রান্ত থেকে ডিফেন্সের জঙ্গলের মধ্যে থেকে বল পাস করে দেন কোলো মুয়ানির দিকে এবং ঠান্ডা মাথায় তিনি হেড করে জালে বল জড়িয়ে দেন প্রথম ৯ মিনিটের মাথায়।
গোল খাবার পর স্পেনের আক্রমণ আরো বেড়ে যায় বিশেষ করে দুই উইংয়ে ইয়ামেন ও নিকোর। ২১ মিনিটে প্রথম গোল হয় স্পেনের ইয়েমেনের হাত ধরে। বল পায়ে ডিফেন্ডারদের নাচিয়ে ছাড়লেন তিনি। ১০২ কিলোমিটার গতিবেগে বল মারলেন গোলে যা আটকাতে ব্যর্থ হলেন ফরাসি গোল রক্ষক। ৪ মিনিটের পর আবার আরেক ধাক্কা দেয় স্পেন। ড্যানি অনবদ্য শর্ট আটকাতে গিয়ে জুলসের পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। ০-১ গোলে পিছিয়ে থাকা স্পেন ৪ মিনিটের মাথায় ২-১ গোলে দূরন্ত কামব্যাক করে ফ্রান্সের ফাইনালে ওঠার রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
নিজেদের স্থান ফাইনালে পাকা করে দ্বিতীয় দলের অপেক্ষায় স্পেন। এখন দেখার বিষয় যে দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে ইংল্যান্ড বনাম নেদারল্যান্ডসের ম্যাচে কে খেলতে চলেছে ফাইনালের ম্যাচে এবং শেষমেশ কার হাতে উঠতে চলেছে ইউরোর শিরোপা।
আরও পড়ুন : সেমিফাইনালে “মেসি ম্যাজিক” – ফাইনালে আর্জেন্টিনা