রাজ্যপাল উপাধ্যক্ষকে দায়িত্ব দিলেও শুক্রবার বিধানসভার সদস্য হিসাবে শপথ বাক্য পাঠ করালেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রথমে রেয়াত হোসেন সরকার ও তারপর সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ বাক্য পাঠ করেন। দুজনেই বাংলায় শপথ বাক্য পাঠ করেন।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- রাজ্যপালের চিঠিকে কোন গুরুত্বই দিল না রাজ্য বিধানসভা। উপনির্বাচনে জয়ী দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল সেই জটিলতা মিটলেও, রাজ্যপালকে একপ্রকার অবজ্ঞা করেই উপাধ্যক্ষের বদলে অধ্যক্ষ শপথ বাক্য পাঠ করালেন দুই নবনির্বাচিত বিধায়ককে।
শুক্রবার রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন শুরু হলে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কারণ ব্যাখ্যা করেন। এখানে সংবিধানের ধারা উল্লেখ করে এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা উল্লেখ করে বিস্তারিতভাবে তিনি জানান এই দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে যে টানা পড়েন হচ্ছিল তার প্রেক্ষাপট কি। অধ্যক্ষ জানান, চার তারিখ রাত ন’টা ২২ মিনিটে রাজভবন থেকে একটি চিঠি অধ্যক্ষের অফিসে এসে পৌঁছায়। যে চিঠিতে দুই বিধায়কের শপথ বাক্য পাঠ করানো নিয়ে উপাধ্যক্ষ আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় কে মনোনীত করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এরপরই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় উপাধ্যক্ষ আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় কে তাঁর মত জানানোর জন্য অনুরোধ করেন। সেই সময় উপাধ্যক্ষ আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনি এই সভা পরিচালনা করছেন। আপনি যেখানে উপস্থিত সেখানে আমি এই ধৃষ্টতা দেখাতে পারবো না। তাই আমি আপনাকে অনুরোধ করছি আপনিই শপথ বাক্য পাঠ করান।”
এরপরই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বাইরে অপেক্ষারত দুই বিধায়ককে অধিবেশন কক্ষে ডেকে নেন। তারপর অধ্যক্ষই দুই বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করান। প্রথমে শপথ নেন ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয়ী রেয়াত হোসেন সরকার। তারপর শপথ নেন বরানগর থেকে জয়ী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর দুইজন সদস্যকে তাঁদের বসার আসন দেখিয়ে দেন বিধানসভার মার্শাল। দুই বিধায়ককে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানান সভায় উপস্থিত তৃণমূল বিধায়কেরা। প্রসঙ্গত এদিনের এই বিশেষ অধিবেশনে আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী ছাড়া বিজেপির কোনো বিধায়ক অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না ।
আরও পড়ুন : অবশেষে কাটলো জটিলতা। দুই বিধায়কের শপথ পাঠ আজকেই