বুধবার রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন ওয়াক আউট করলো বিরোধী দল। যা নিয়ে বিরোধী দলকে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের ক্ষোভের কথা জানান রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- মঙ্গলবার লোকসভার পর বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর বিতর্কে অংশ নিয়ে জবাবি ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তৃতা চলাকালীন বারবার বিরোধী দলের সদস্যরা বাঁধা দিতে থাকেন। মিথ্যা ভাষণ দিচ্ছেন, ভাষণ বন্ধ করা হোক, এই দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন শ্লোগান দিতে থাকেন কংগ্রেস সহ বিরোধী দলের সাংসদরা। বেশ কয়েকবার রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গে-কে উঠে দাঁড়াতে দেখা যায়। তখন তাঁর পাশেই বসে রয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। বিরোধীদের বাঁধা দানের মধ্যেই ভাষণ চালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন দেশ তাঁর সরকারকে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠনের সুযোগ দিয়েছে, এইবার তাঁরা(তাঁর সরকার) দেশের অর্থনীতি কে পঞ্চম স্থান থেকে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে তুলে নিয়ে আসবেন। এরপর কৃষকদের জন্য তাঁর সরকার কি কাজ করছে সেই প্রসঙ্গে আসলে বিরোধীরা নিজেদের আসন ছেড়ে ওয়েলের দিকে নেমে আসেন।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় তখন বিরোধী দলনেতা (মল্লিকার্জুন খড়গে) কে বলেন এটা আইন মেনে কাজ হচ্ছে না। আপনারা নিজেদের আসনে গিয়ে বসুন। কিন্তু চেয়ারম্যান এর কথায় কান না দিয়ে বিরোধীরা শ্লোগান চালিয়ে যেতে থাকেন। তারপরেই অবশ্য বিরোধী সাংসদরা রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যান।
বিরোধীদের বেরিয়ে যেতে দেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওঁরা সত্যি শুনতে ভয় পান। তাই পালিয়ে গেলেন। আমি একজন দেশ সেবক। দেশের জনগনের সেবা করাটা আমি আমার প্রতি মূহুর্তের কাজ বলে মনে করি।” রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় বলেন, “আমি বিরোধী দলনেতাকে কোনরকম বাঁধাহীন ভাবে বক্তব্য রাখবার সুযোগ করে দিয়েছি। কিন্তু আজ তিনি (বিরোধী দলনেতা) যা করলেন এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। (তিনি)সদন ছেড়ে যান নি, মর্যাদা ছেড়ে গেছেন। সংবিধানকে এর থেকে বড় অপমান আর হতে পারে না। আমি বিরোধীদের আচরনের ভর্ৎসনা করছি। আমি আশা করি ওঁনারা এটা নিয়ে আত্মচিন্তা করবেন।” বিরোধীরা ওয়াক আউট করে বেরিয়ে গেলেও বিরোধী শূণ্য রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শেষ পর্যন্ত পড়েন।
আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশের ‘ভোলেবাবা’ র পদধূলি নিতে গিয়ে পদপৃষ্ঠ হয়ে মৃত ১২১।