অনুসূয়া দাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ২০২৪-র ৮ অগাস্ট অনন্তের পথে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মরণোত্তর দেহদান করে গিয়েছেন তিনি। কমিউনিস্ট নেতাদের মধ্যে শুধুমাত্র বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নন, দেহ দান করেছেন জ্যোতি বসু, মানব মুখোপাধ্যায়, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, শ্যামল চক্রবর্তী, সমর মুখোপাধ্যায়, বিনয় চৌধুরী, অনিল বিশ্বাসের মতো অনেক সিপিআইএম নেতা।
দেহদানের আড়ালে রহস্য
কমিউনিস্ট নেতাদের দেহদানের পিছনে রয়েছে গণদর্পন। কী এই গণদর্পণ? এটি হল এক সামাজিক আন্দোলন এবং একটি বেসরকারি সংগঠন। এই সংগঠনের সঙ্গে অতঃপ্রতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন ব্রজ রায়। ১৯৭৭ সালে একটি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসাবে কুসংস্কার প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠা করা হয় গণদর্পণ সংস্থার। এই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বেশ কিছু নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। এই সংগঠনের সঙ্গে যিনি অতঃপ্রতভাবে জড়িত, তিনি হলেন ব্রজ রায়। ১৯৫৭ সালে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়েছিলেন মাত্র ২১ বছর বয়সে।
১৯৮৫ সালে ব্রজ রায় সহ গণদর্পণের পাঁচজন সদস্য অ্যানাটমি চিকিত্সা গবেষণার জন্য মরণোত্তর দেহ দানের অঙ্গীকার করেন। ১৯৮৬ সালে আরও ৩৪ জন মরণোত্তর দেহ দানের অঙ্গীকার করেন।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেহদানের জন্য বোঝানো হয় সংগঠনের তরফে। ব্রজ রায়ের সামাজিক আন্দোলনের পরবর্তীকালে প্রায় সকল কমিউনিস্ট নেতাই দেহ দানের অঙ্গীকার করেন। ২০২১ সালে মৃত্যু হয় ব্রজ রায়ের। তবে তাঁর আন্দোলন আজও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কমিউনিস্টরা। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ব্রজ রায়ের আন্দোলন। বুদ্ধদেব ছাড়াও দেহ দানের অঙ্গীকার করা রয়েছে বিমান বসু, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুর্যকান্ত মিশ্রদেরও।