সহেলী দত্ত, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আরজি করকাণ্ড (R G Kar Incident) নিয়ে উত্তাল রাজ্যের হাসপাতাল চত্বরগুলি। সোমবার থেকে চলছে পড়ুয়াদের কর্মবিরতি। শুধু কলকাতা নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে নো সেফটি নো ডিউটির স্লোগান। ইতিমধ্যে নির্যাতিতার বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার সমস্ত প্রকাশ্যে আনার জন্য পুলিশকে রবিবার পর্যন্ত ডেডলাইন দিয়েছেন তিনি। তবে সোমবার দুপুর আন্দোলনরত ছাত্রছাত্ররীরা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা জানান, তাঁদের ছয় দফার দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চলবে।
১) যুবতী চিকিতসক খুনের ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে।
২) দোষীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
৩) সিসিটিভি ফুটেজ এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সহ তদন্ত সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিকে দেখাতে হবে।
৪) উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের লিখিত ভাবে পদত্যাগ বা অপসারণ করতে হবে। ক্ষমা চাইতে হবে লিখিত ভাবে। ভবিষ্যতে আর কোনও প্রাতিষ্ঠানিক পদে তাদের দ্বায়িত্ব না দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। নিহত ডাক্তারি পড়ুয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫) রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ২৪ ঘন্টা সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে বন্দোবস্ত করতে হবে। মহিলা এবং পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ পিকেটিং এবং পুলিশের টহলদারির ব্যবস্থা করতে হবে। কর্তব্যরত চিকিতসকদের জন্য উপযুক্ত ঘরের বন্দোবস্ত করতে হবে। যাতে কাউকে সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে না হয়।
৬) আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়া এবং জুনিয়র চিকিতসকদের উপর অত্যাচারের জন্য কলকাতা পুলিশকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। সমাজ মাধ্যমে যে মানহানি করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরজি করকাণ্ডে নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের পর নির্যাতিতার বাবাকেও তদন্তে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে মামলার শুনানিতে কর্মবিরতির বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।