আজ গোটা বাংলার মনখারাপ। বৃহস্পতিবার যার সূচনা হয়েছিল। প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এদিন এনআরএসে তার দেহ দান করা হবে। কিভাবে সংরুক্ষিত হবে তার দেহ?
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: এনআরএস হাসপাতালে এসে থামবে বুদ্ধবাবুর জীবন রথের চাকা। আর কোনদিনও সেই চেনা কন্ঠে কেউ বলবে না এ লড়াই লড়তে হবে, কিংবা শিল্প আমাদের ভবিষ্যত। তবু না থেকেও থেকে যাবেন তিনি৷ এনআরএসের ডাক্তারি পড়ুয়াদের শিক্ষায় ব্যবহার করা হবে বুদ্ধবাবুর মরদেহ।
এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ তার মরদেহ নিয়ে আসা হবে এনআরএসে। ঠিক কোন পদ্ধতিতে তার মরদেহ সংরক্ষণ করা হবে এনআরএস হাসপাতালে? আসুন জেনে নেওয়া যাক
মূলত কোন দেহ দান করা হয়ে গেলে তা আর ৫টি মরদেহের সঙ্গেই রাখা হয়। চিকিৎসক-শিক্ষকরা পড়ুয়াদের শেখান যে এনাটমির ক্লাসে যদি কোন বিশিষ্ট ব্যক্তির মৃতদেহ থাকে তাহলে তা দেখে কেউ যেন আবেগপ্রবণ না হয়ে পড়ে। ক্লাসে শেখার ক্ষেত্রে সবাই সমান।
দেহ যদি দান করা হয়, তা হলে হাসপাতালে আনার পর সেই দেহকে সংরক্ষণের জন্য কিছু বিশেষ রাসায়নিকের সাহায্য নেওয়া হয়। তবে সেই পদ্ধতি শুরু করার আগে জানতে হবে ঠিক কোন কারণে, কী পরিস্থিতিতে সেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও মৃত্যুর সময়ে বা তার আগে কোনও কারণে কোনও অঙ্গ নষ্ট হয়ে গিয়েছে কি না তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ। সেই তথ্য সঠিক ভাবে জেনে তারপর প্রয়োজন অনযায়ী দেহে একাধিক রাসায়নিক ইনজেক্ট করা হয়। বিভিন্ন অনুপাতে সেই সব রাসায়নিক প্রয়োজন অনুসারে মেশানো হয়। দেহের অবস্থার উপরে নির্ভর করেই সেই অনুপাত নির্ধারণ করা হয়। বুদ্ধবাবুর ক্ষেত্রেও তাই হবে।
তবে মরদেহ সংরক্ষণ করারও বেশ কিছু নিয়ম আছে। যদি মরদেহে সঠিক অনুপাতে সব রাসায়নিক ইনজেক্ট করা যায় তা হলে প্রায় সাড়ে চার থেকে ৫ বছর অবধি একটি দেহ ডাক্তারি পড়াশোনার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।আসলে বিশেষ রাসায়নিকের মিশ্রণে দেহকে সারা বছর রাখা হয়। কেবল যখন প্রয়োজন সেই সময় বার করে আনা হয়। বিশেষ করে এই বর্ষার সময়, গরমে আরও বেশি সাবধান হওয়া প্রয়োজন। না হলে দেহ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বর্ষাকালে ছাতা ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।