সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- বাংলাশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই মুক্তি ঘোষণা করা হয় হাসিনার চীর প্রতিদ্বন্দ্বি খালেদা জিয়ার। দীর্ঘদিন ধরে হাউস অ্যারেস্ট ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন। রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন ৩ বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, জনগণের প্রতিনিধি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ঘোষণা করেন খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা। যদিও এই বৈঠকে আওয়ামি লীগের কোনও প্রতিনিধি ছিল না। এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সরকারিভাবে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে স্থায়ী ভাবে মুক্তি দেওয়া হয়।
পাশাপাশি ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ। মঙ্গলবার বিকেল ৩টের মধ্যে শো সংসদ ভেঙে দেওয়ার ডেডলাইন দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ের মধ্যেই ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির চেয়ারপার্সন খালেদা দুর্নীতির ২ টি মামলায় সাজা পান। ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জেল বন্দি করা হয় তাঁকে। মোট ১৭ বছরের জেলের সাজা ঘোষণা হয়। ২ বছর জেলদশা কাটানোর পর তাঁর পরিবারের তরফে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন হাসিনার সরকার এক অন্তর্বর্তী আদেশে খালেদার সাজা ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ স্থগিত রাখে এবং তাঁকে শর্তসাপেক্ষে গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মেয়াদ ছিল ৬ মাস।
এর পর থেকে ৬ মাস অন্তর খালেদা জিয়ার গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশের জন্য জেল থেকে খালেদাকে মুক্তি দেওয়া হলেও তাঁর গুলশনের বাড়িতে বিধিনিষেধের মধ্যে গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। স্বাধীন ভাবে তাঁর যাতায়াতের উপর ছিল নিষেধাজ্ঞা। গত কয়েক বছরে তাঁকে একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অসুস্থতার জন্য তিনি সক্রিয় ভাবে রাজনীতির কাজ করতে পারবে না বলেই জানাচ্ছে বিএনপি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে প্রেক্ষাপট তা আগের থেকে অনেকাংশেই বদল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে খালেদার ছেলে তারেক রহমান বিএনপির হাল ধরতে পারে বলে দাবি বিএনপির।