অনুসূয়া দাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
‘ওরে ও তরুণ ঈশান…
বাজা তোর প্রলয় বিষাণ,
ধ্বংস নিশান উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি…’
১৯৪৭ সালে পরাধীনতার বেড়াজাল ছিন্ন করে মুক্ত হয়েছিল ভারত। ২০০ বছরের দীর্ঘ ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশকে স্বাধীন করতে রক্ত ঝরিয়েছিলেন হাজার হাজার বীর সন্তানেরা। ১৫ অগাস্ট দিকে দিকে তেরঙা পতাকা উড়িয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করেন দেশবাসীরা। তবে শুধুমাত্র আমাদের দেশ ভারতবর্ষই নয়, ১৫ অগাস্টে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় আরও ৫ দেশে।
তালিকায় কোন কোন দেশ ?
বাহারিন
লিচটেনস্টাইন
গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো
উত্তর কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়া
ভারত- ১৯৪৭ সালে ১৫ অগাস্ট ব্রিটিশের হাত থেকে মুক্তি পায় ভারত । তবে দেশ ছাড়ার আগে তারা ভারতকে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রে ভাগ করে দেয়। একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ভারত অন্যটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তথা পাকিস্তান। ভারতের স্বাধীনতা দিবসের একদিন আগে ১৪ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় পাকিস্তানে।
বাহারিন-
ভারতের মতো এই দেশটিও এক সময় ইংরেজদের কাছে পরাধীন ছিল। ব্রিটিশদের পরাধীনতা থেকে ১৫ অগাস্টই মুক্তি পেয়েছিল মধ্য়প্রাচ্যের বাহারিন। ১৯৭১ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মধ্যস্থতায় পতন ঘটে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের। তবে শুধু ব্রিটিশই নয়, তার আগে পর্তুগাল ও আরবের উপনিবেশ ছিল এই দেশে। দিলমুন সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন নির্দশন কেন্দ্র বাহারিন। এই দেশের বেশিরভাগই বাসিন্দাই ইসলাম ধর্মাবলম্বী। বাহারিনকে মুক্তোর দেশ হিসাবে অভিহিত করা হয়।
লিচটেনস্টাইন-
জার্মানদের হাত থেকে ১৮৬৬ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে লিচটেনস্টাইন। তারপর ১৯৪০ সালে দেশের সরকার ১৫ অগাস্ট জাতীয় দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। সেই থেকে বিশ্বের এই ছোট দেশ এই দিনেই স্বাধীনতা দিবস পালন করে আসছে। দেশটির দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তে সুইজারল্যান্ড ও উত্তর পূর্ব সীমান্তে রয়েছে অস্ট্রিয়া। দেশটির আয়তন মাত্র ১৬০ বর্গ কিলোমিটার। এই দেশের রাজধানী ভাদুজ।
গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো
কঙ্গোতে ফরাসি উপনিবেশের পতন ঘটে ১৯৬০ সালে। এই দেশের আগের নাম ছিল ফ্রেঞ্চ কঙ্গো। ১৮৮০ সাল থেকে ফরাসিরা এই দেশ শাসন করতে শুরু করে। দীর্ঘ ৮০ বছর ফ্রান্সের পরাধীনতায় ছিল এই দেশ। এই দেশের রাজধানী ব্রাজাভিল্লি।
উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া
১৫ অগাস্ট উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া জাপান বিজয় দিবস হিসাবে পালন করে। ১৯৪৫ সালের ১৫ অগাস্ট মুক্তি স্বাধীনতার মুখ দেখে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া। প্রায় ৩৫ বছর পরে মার্কিন ও সোভিয়েত বাহিনী কোরিয়ান উপদ্বীপের দখল ছেড়ে দেয়। ফলে জাপানি ঔপনিবেশিকতা কাটিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে কোরিয়া।