বাংলাদেশের আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে কি! ক্রোধ রোষের হাত থেকে শিল্পী কিংবা শিল্প কেউই বাদ গেল না। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বাংলাদেশের বিখ্যাত ব্যাণ্ড ‘জলের গান’-এর বিশিষ্ট শিল্পী রাহুল আনন্দের প্রায় ৩০০০ বাদ্যযন্ত্র
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: বাংলাদেশের আন্দোলনকারীদের ক্রোধের হাত থেকে রক্ষা পেল না শিল্পও। রীতিমতো এককাপড়ে বাড়ি ছাড়তে হল রাহুল আনন্দকে। সঙ্গে তার স্ত্রী এবং ১৪ বছরের শিশু। শুধু তো বাড়িছাড়াই নয়, তিলতিল করে যে কয়েক হাজার বাদ্যযন্ত্র তিনি বানিয়েছিলেন সেগুলোকেও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে ধানমন্ডিতে রাহুল আনন্দের বাড়িতে আচমকাই হামলা চালায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। জোর করে বাড়িতে ঢুকে পড়ে তারা। শুরু হয় ভাঙচুর শুরু করা। সেসময় বাড়িতে কমপক্ষে ৩ হাজার বাদ্যযন্ত্র রাখা ছিল। সেই সবকিছু ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য জলের গানের স্টুডিও হিসাবে রাহুল আনন্দের এই বাড়িটি ব্যবহার হত। ব্যান্ডের তরফে ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে, সেই স্টুডিও সম্পূর্ণ তছনছ করে দেওয়া হয়েছে।
বাদ্যযন্ত্র ভেঙে দেওয়াতেই শেষ নয়, এরপর প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে রাহুল আনন্দ, তার স্ত্রী ও ১৩ বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। সঙ্গে কিছু নিয়েও আসতে পারেননি তারা। কার্যত এক কাপড়েই ঘরছাড়া করা হয় বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও তার পরিবারকে।
সোশাল মিডিয়ায় এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন গায়ক অর্ণব। সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘এটা অত্যন্ত বড় ক্ষতি! মেনে নিতেই পারছি না! একেবারে ভুল হচ্ছে। আমি সত্যিই দুঃখিত। রাহুল তোমার সঙ্গে আছি। তারা ওঁর বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে… ওঁর বাদ্যযন্ত্রের বিশাল সংগ্রহও তার সঙ্গে পুড়ে ছাই। এখন আমি ভাবছি, “খাল কেটে কোন কুমির আসবে”!’
অন্যদিকে ‘জলের গান’ ব্যান্ডের অফিসিয়াল হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিওর সঙ্গে দীর্ঘ পোস্ট করা হয়েছে। রাহুল আনন্দের পুড়ে যাওয়া বাড়ির কথা মনে করে তাতে লেখা হয়েছে ‘“স্বপ্নে তুমি দাগ দিও না। সরলরেখার স্বপ্নে কারো বাঁক দিওনা! বাঁক দিওনা!”