সহেলি দত্ত, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আরজি করকাণ্ডে (R G Kar ) স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court )। মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (Chief Justice of India DY Chandrachud), বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা (Justices JB Pardiwala) ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের (Manoj Misra) বেঞ্চে। এজলাসে ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা, আইনজীবী কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিংভি , বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য আইনজীবীরা। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা নির্দিষ্ট কোনও একটি হাসপাতালের ঘটনা নয়। দেশের সমস্ত চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। চিকিৎসকরা যাতে নিরাপদে কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। চিকিৎসকদের সুরক্ষায় ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেশের শীর্ষ আদালতের। পাশাপাশি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমার নির্দেশ দেওয়া হল সিবিআইকে। হাসপাতালগুলির জন্য বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করা হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। তার মধ্যে রয়েছে হাসপাতালে সিসিটিভ লাগানোর বিষয়টিও। কোথায় এবং কোন লোকেশনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান হয়েছে , তা জানাতে হবে আদালতকে। মহিলা, পুরুষ চিকিৎসকদের আলাদা রেস্ট রুম করতে হবে। নার্সদের জন্যও আলাদা রুমের কথা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে করিডরেও লাগাতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। পর্যাপ্ত আলো থাকতে হবে হাসপাতাল চত্বরে। প্রত্যেক হাসপাতাল কর্মীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে। হাসপাতালে রাখতে হবে অভিযোগ বাক্স। যা সর্বক্ষণ সচল থাকবে। টাস্ক ফোর্সকে দুটি বিষয়ে পরিকল্পনা করে এগোনর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রথমে বলা হয়েছে, নারী পুরুষ নির্বিশেষে চিকিৎসা পেশায় হিংসা রুখতে হবে এবং দ্বিতীয়ত নিরাপদে কাজের পরিবেশের জন্য একটি প্রটোকল তৈরি করতে হবে।
মামলার শুনানিতে প্রথমে ঠিকভাবে হাসপাতালের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়নি। সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। কীভাবে স্বাধীনতা দিবসের রাতে একটি সরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালাল হামলাকারীর, সেই বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টে। সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে শীর্ষ আদালতে। আরজি করে তরুণী চিকিতসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা, হাসপাতাল ভাঙচুর, চিকিতসকদের কর্মবিরতি সমস্ত ঘটনা নিয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি।