রিয়া দাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সংসদ ভবন নির্মাণ করতে খরচ হয়েছেছিল ১২০০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের প্রোজেক্ট। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বেহাল ১২০০ কোটি টাকার নতুন সংসদ ভবনের দশা। প্রবল বর্ষণে ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পরার ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল। এবার সামনে এল আরও ভয়ঙ্কর ছবি। সংসদ ভবনের মেঝেতে জলের স্রোত। ১২০০ কোটি টাকা খরচে নির্মিত নতুন সংসদ ভবনের এই দৃশ্য দেখে হতবাক নেটিজেনরা। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভাইরাল ভিডিওতে কাউকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘’ইয়ে হ্যায় হমারে রাজ্যসভা !’ যা থেকে অনেকেই অনুমান করছেন, ওই জলস্রোত বইছে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা চত্বরে। যদিও এই ভাইারল হওয়া ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আরপ্লাস নিউজ।
লোকসভা সচিবালয়ের তরফে শুক্রবার তার এক অভিনব ব্যাখ্যা মিলেছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, নতুন সংসদ ভবনে কাচের গম্বুজ থেকে ওই বিপত্তি। যে আঠালো পদার্থ ব্যবহার করে গম্বুজের কাচ জোড়া হয়েছিল, তার ফাঁক থেকে জল চুঁইয়েই এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, একই সঙ্গে এই প্রশ্নও উঠেছে যে, গম্বুজের ফাঁকফোকর থেকে চুঁইয়ে আসা জলের ধারা কী ভাবে সংসদ ভবনের মেঝে ভাসিয়ে দিতে পারে ! মহানগরী থেকে রাজধানী জলের তোড়ে বেহাল চিত্র সামনে আসছে। কি ভাবে প্রযুক্তিগত ত্রুটি হলো ? কোন সংস্থার হাতে ছিল বরাত ? উঠছে প্রশ্ন।
গত ১ অগাস্ট আরও একটি ভিডিও শেয়ার করে কংগ্রেস। যে ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছিল, সংসদের লবিতে ছাদ চুঁইয়ে পড়ছে জল। নিচে বালতি পাতা। সংসদের লবির বেশ কিছুটা জায়গা জল পড়ে ভিজে রয়েছে। এমনকী ছাদ থেকে জল পড়তেও দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে। খোদ রাষ্ট্রপতি সংসদে যাওয়ার সময় ওই লবি ব্যবহার করেন।
সংসদের প্রতিটি কোণে ভারতীয় শিল্পকলার নিদর্শন তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একের পর এক ভিডিও সত্যি হলে নতুন সংসদ নির্মাণের গোড়াতেই রয়েছে গলদ। সামান্য বর্ষণ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নেই। গণতন্ত্রের মন্দিরের এই অবস্থা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাধের আরেক জায়গা রামমন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল। সেটাও কেন্দ্রের শাসকদলের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।