রিয়া দাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আরজি করে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সাড়া পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য তথা দেশজুড়ে। পশ্চিমবঙ্গের সীমানা ছাপিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদের আঁচ। তার মাঝেই ফের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। এবার নৃশংসতার বলি উত্তরাখণ্ডের ৩৩ বছর বয়সী নার্স। ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক ব্য়ক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরজি করের রিপিট টেলিকাস্ট
উত্তরাখণ্ডে এক বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন ওই নার্স। কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়েই তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করা হয় বলে অভিযোগ। বাড়িতে এক ১১ বছরের ছোট মেয়ে রয়েছে তাঁর। গত ৩০ জুলাই থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। ৩১ জুলাই পরিবারের তরফে রুদ্রপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। খোঁজাখুঁজি শুরু করে পুলিশ। শেষে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার হয় নার্সের দেহ। অভিযোগ, ওই নার্সকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এমনকি ওই মহিলার কাছে থাকা টাকা-পয়সা, গয়না যা ছিল, তা-ও লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
ধৃতের অপরাধ স্বীকার
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসতেই অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। ওই মহিলাকে শেষ কোথায় কোথায় দেখা গিয়েছিল, তা খুঁজে বের করেন পুলিশকর্মীরা। মৃতার চুরি হওয়া মোবাইলটি কোন জায়গায় রয়েছে, সেটিও চিহ্নিত করা হয়। সেই সূত্র ধরেই রাজস্থানের যোধপুর থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা। ধৃত ধর্মেন্দ্র উত্তরপ্রদেশে শ্রমিকের কাজ করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত জেরায় স্বীকার করেছে অপরাধের কথা। ধৃতের দাবি, ছিনতাইয়ের অভিপ্রায়ে তিনি প্রথমে ওই নার্সের উপর হামলা করেছিলেন। পরে তাঁকে ধর্ষণ করেন ও শ্বাসরোধ করে খুন করেন। এর পর মৃতার ব্যাগ নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান বলে দাবি অভিযুক্তের।
“নারী নিরাপত্তা কোথায় ? “
দেশজুড়ে ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়েছে মহাসমরোহে। স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরও বারবার উঠে আসছে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের কথা। এ কোন স্বাধীনতায় বাস করছি আমরা যেখানে নেই কোনও নারী নিরাপত্তা। বারবার কেন মেয়েরাই……..? যে দেশ অর্থনীতিতে সারা বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। আগামী নির্বাচনে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ছাপিয়ে যাবেন নারীরা। এবার তো নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবা উচিত। এমনই প্রশ্ন তুলছে ওয়াকি বহাল মহল।