মাম্পি রায়, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আরজিকরে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল গোটা বাংলা। দেশ পেরিয়ে বিদেশেও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছে প্রতিবাদের আঁচ। রাত জেগে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন অসংখ্য মানুষজন। ডাক্তার, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি, সাংবাদিক, প্রযুক্তিবিদ, বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত শিল্পী ও কলাকুশলীরা এবং নাগরিক সমাজও পথে নেমে প্রতিবাদ করছেন। কিন্তু আর কতদিন চলবে এই প্রতিবাদ ? এভাবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করলেই কি মিলবে সুবিচার ? এভাবে কি রুখে দেওয়া যাবে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা ?
কখনও নির্ভয়া, কখনও উন্নাও এমনই গুচ্ছ গুচ্ছ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। সমস্ত নারী নির্যাতনের ঘটনায় হয়তো নির্ভয়া বা অভয়ার মতো প্রতিবাদ হয় না। আরজিকরকাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছেন মানুষজন। কিন্তু এই প্রতিবাদের মাধ্যমে কি দেশজুড়ে নারী নির্যাতন, নাবালিকার যৌন হেনস্থা শ্লীলতাহানি রোখা যাবে ?
উত্তরটা হল না।আরজিকরকাণ্ডের প্রতিবাদ যখন অব্যাহত। এরইমধ্যে দেরাদুনে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় বাস কন্ডাক্টর, বাস ড্রাইভারও জড়িত ছিল। ঘটনার তদন্ত করছে এসআইটি।
বেঙ্গালুরুতে বছর ২১-এর কলেজ ছাত্রী পার্টি করে ঘরে ফিরছিলেন, তখনই এক বাইকআরোহী তাঁকে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ।
মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে দুই নার্সারি পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে স্কুলের সুইপারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাতেও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বদলাপুর এলাকা। শয়েশয়ে মানুষ বিক্ষোভ দেখান।প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জায়গায়।
গত কয়েকদিনে কি তবে ধর্ষণের অভিযোগ বেশি করে উঠছে ? উত্তরটা হল না। ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন রোজ হচ্ছে। কিন্তু রিপোর্টিং, প্রতিবাদ বিক্ষোভ রোজ হচ্ছে না।
২০১২ সালে – নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ
২০১৯সালে – হায়দরাবাদে এক পশু চিকিত্সককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনাতেও বড় প্রতিবাদের ঝড় চোখে পড়েছিল
২০২০ সালে– হাথরসে বছর ১৯-এর দলিত কিশোরী ধর্ষণের ঘটনাতেও প্রতিবাদ হয়েছিল বড় আকারে।
২০১২ সাল নাগাদ প্রায় ২৫হাজার যৌন হেনস্থার রিপোর্ট দায়ের হত। কিন্তু এনসিআরবির রিপোর্ট বলছে, ২০২২-এ ৩১হাজার এমন রিপোর্ট দায়ের হয়েছে। অর্থাত্ প্রতিদিন ৮৫টি ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠছে।
২০১২ সাল থেকে দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১.১৪ গুণ বেড়েছে। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বেড়েছে ১.২৫ গুণ। অর্থাত্ পরিস্থিতি ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কী করা উচিত ? অভিনেতা তথা কমেডিয়ান বীর দাস একটি শোতে বলেছিলেন, আমরা দুরকম ভারতে বসবাস করছি। একদিকে আমাদের দেশে নারীকে শক্তির প্রতীক হিসেবে পুজো করা হয়। অন্যদিকে আবার সেই নারীকেই লালসার পাত্র করছে একাংশ। কিন্তু সেই অনেকেরই খারাপ লেগে যায়।
দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের পর লেসলি উডউইনের একটি ডক্যুমেন্টারি প্রকাশ পেয়েছিল। যার নাম- ইন্ডিয়া ডটার্স। বিভিন্ন স্কুলে এধরণের ডক্যুমেন্টারি দেখানো উচিত ছিল। কিন্তু সেই ডক্যুমেন্টারিকে ব্যান করে দেওয়া হয়। মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, ভারতকে কালিমালিপ্ত করতেই এধরণের ছবি বানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের নাম বদনাম করবে এই ডক্যুমেন্টারি।
ধর্ষণ খারাপ, কিন্তু স্থান কাল পাত্র অনুযায়ী ধর্ষণ নিয়ে মানুষের মনও বদল হতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন সময়।
টিভি চ্যানেলে হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন বিজেপি নেত্রী নুপূর শর্মা। কিন্তু এর জেরে তাঁকে ধর্ষণ ও খুনের হুমকি দেওয়া হয়। যা ঠিক নয়।
ঐতিহাসিক অড্রি ট্রস ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে লিখেছিলেন, ঔরঙ্গজেব বহু হিন্দু মন্দির ভেঙেছিলেন, আবার বহু মন্দির বানিয়েওছিলেন। তাঁর লেখায় সহমত না হলে মানুষজন তাঁর সঙ্গে বিতর্কে যেতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। ট্যুইটার, ফেসবুক, ইমেল মারফত তাঁকে ধর্ষণ ও খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
বিখ্যাত মানবাধিকার আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় লড়েছেন। সেই ইন্দিরা জয়সিংই নির্ভয়ার মাকে তাঁর ধর্ষকদের ক্ষমা করতে বলেছিলেন। এই ইস্যুতে কঙ্গনা রানাওয়াত মন্তব্য করেন, ইন্দিরা জয়সিংকে ধর্ষকদের সঙ্গে জেলে রাখা উচিত।অন্যদিকে আবার বিলকিস বানোর সাজাপ্রাপ্ত ধর্ষক মুক্তি পেতেই তাদের মিষ্টি খাইয়ে আপ্যায়ন করা হয়। যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত রাম রহিম প্রত্যেকবার ভোটের আগে প্যারোলে বাইরে বেরিয়ে আসে। রামরহিমের ধর্ষণের ঘটনা জানার পরও তার অন্ধভক্তরা এখনও তাকে সমর্থন করে।হাতরসকাণ্ডে একাধিক সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছিল নির্যাতিতার সঙ্গে অভিযুক্তের পুরনো সম্পর্কের কথা। শোনা যায় দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ১০৪বার নির্যাতিতা ও অভিযুক্তর কথা হয়েছে বলেও কল লিস্ট থেকে তথ্য উঠে আসে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর বলেছিলেন ৮০-৯০শতাংশ ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মামলায় অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতা একে অপরের পরিচিত। তাদের মধ্যে বিবাদ হলেই পুরুষ বন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন মহিলারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও এমন মন্তব্য উঠে এসেছে। ২০২২ সালে নদিয়ায় ১৪বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্তের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
তবে কি প্রেমের সম্পর্ক থাকলেই ধর্ষণ করা যায় ? উত্তরটা হল না। প্রেমের সম্পর্ক থাকলেই তার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা যায় না। একাধিকবার তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হলেও পরবর্তী সম্পর্ক স্থাপনের সময় দুপক্ষের সম্মতি প্রয়োজন।
ধর্ষণ হলেই প্রথমে নির্যাতিতার দিকে আঙুল তোলা হয়, প্রথমে তাঁর চরিত্র, তাঁর পোশাক, রাতে কী করতে বাইরে বেরিয়েছেন, সেই প্রশ্নও তোলা হয়। গোয়ায় দুই নাবালিকার উপর যৌন হেনস্থার ঘটনায় বিজেপি নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেন, মেয়েদুটি এত রাতে বাইরে কী করছিল? ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী মহিলার উপর ধর্ষণের ঘটনাতেও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার একজন বিধায়ক এমনই মন্তব্য করেছিলেন। নির্যাতিতার মা-বাবার উপরে দোষ চাপিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাতে মেয়েকে কেন বাইরে যেতে দিলেন তাঁরা?
নির্ভয়াকাণ্ডে মুকেশ সিংও এমনই মন্তব্য করেছিল।
রাতে মেয়েদের বাইরে বেরোনোর কারণে ধর্ষণ নয়, ধর্ষকের বাইরে বেরোনোর জন্যই ধর্ষণ হয়। কারোর যদি মনে হয় তাঁদের বাড়িতে ধর্ষক মনোভাবাপন্ন মানুষজন রয়েছে, তাহলে রাত হলে তাঁদেরকে ঘরে আটকে রাখুন। ২০১৫-র এনসিআরবির তথ্য অনুযায়ী, ৯৫ শতাংশ ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা ও ধর্ষক তাদের পূর্ব পরিচিত। ২০১৭ সালের এনসিআরবির রিপোর্ট বলছে, ৯৩ শতাংশ ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা ও ধর্ষক তাদের পূর্ব পরিচিত। ২০২১ সালের এনসিআরবির রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯৬ শতাংশ ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা ও ধর্ষক তাদের পূর্ব পরিচিত। অর্থাত্ এটা স্পষ্ট বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিবেশী, বন্ধু, আত্মীয় পরিজনরাই ধর্ষণে জড়িত। আমেরিকাতেও দেখা গিয়েছে ৮০শতাংশ ক্ষেত্রে ধর্ষক ও নির্যাতিতা পূর্ব পরিচিত। অর্থাত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যখন নির্যাতিতা এবং অভিযুক্ত পূর্ব পরিচিতই হয়, তবে রাতে বাইরে বেরনোর সঙ্গে ধর্ষণের সম্পর্কটা কোথায় ?
যৌন নির্যাতনকাণ্ডে মেয়েদের চরিত্র নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়। আনারকলি অফ আরা ছবিতে স্টেজ ডান্সারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন স্বরা ভাস্কর। স্টেজে পারফরম্যান্স চলাকালীন একজন নেতা তাঁর সঙ্গে অসভ্যতা করে। নেতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন তিনি। অর্থাত্ স্টেজ ডান্সার হন কিংবা যৌনকর্মী প্রত্যেক মহিলারই তাঁদের শরীরের উপর অধিকার আছে।
পিঙ্ক ছবিতে দেখানো হয়েছে। কোনও মেয়ে কারোর সঙ্গে মদ্যপান করেছেন। তার অর্থ এই নয় যে তার সঙ্গে যেকোনও অসভ্যতা করা যায়। ধর্ষণ মনোভাবাপন্ন বহু মানুষ এধরণের যুক্তি দেখাতে পারে।
মদ্যপান করলে শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে মহিলার চরিত্রে প্রশ্ন তোলা যায়।
অনেক ধর্ষণকাণ্ডে মহিলার ছোট পোশাক নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। যুক্তির খাতিরে যদি তা মেনে নেওয়া হয় তাহলে প্রশ্ন ওঠে, শিশু বা নাবালিকাকে কেন ধর্ষণ করা হয় ? বয়স্ক মহিলা, মানসিক বিপর্যস্তদের কেন ধর্ষণ করা হয় ? শাড়়ি ও বুরখা পরা মহিলাদের কেন ধর্ষণ করা হয় ? রাজস্থান-উত্তরপ্রদেশের বহু গ্রামে তো মহিলারা ছোট পোশাক পরেন না। তবে সেখানে কেন ধর্ষণ হয় ?
অক্ষরা সেন্টার নামে একটি এনজিও ৮টি শহরে সমীক্ষা চালিয়েছিল। ৩হাজার মহিলা ও পুরুষের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে উঠে এসেছে ৫৪.৮ শতাংশ পুরুষ বিশ্বাস করেন, মহিলাদের ছোট পোশাক পরার কারণে ধর্ষণ হয়। অন্যদিকে ৩৯.২ শতাংশ মহিলাও এমনটাই বিশ্বাস করেন। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
বহু বলিউড ছবিতেও এমন মন্তব্য, আইটেম নাম্বারে এধরণের কথা এবং সেক্সিস্ট মন্তব্য উঠে আসে। আসলে যৌন উত্তেজনার সঙ্গে ধর্ষণের কোনও সম্পর্ক নেই। একাধিক রিসার্চে উঠে এসেছে, ধর্ষকদের ৩টি ভাগে ভাগ করা যায়।পাওয়ার রেপিস্ট- এধরণের ধর্ষক যৌন নির্যাতন করে নিজেকে প্রভাবশালী মনে করে। অ্যাংগার রেপিস্ট- এদের মধ্যে প্রচুর রাগ থাকে। যারা মা বোন তুলে নির্যাতিতাকে গালিগালাজ করে। নির্যাতিতা বাধা দিতে গেলে তাকে খুনও করতে পারে।সেডিস্টিক রেপিস্ট- এরা অন্যকে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করে আনন্দ অনুভব করে। এরা নির্যাতিতাকে দীর্ঘসময় ধরে শারীরিক নিগ্রহ করে।
ধর্ষকদের অনেকেই মানসিক অসুস্থ বলে থাকেন। কেন এমন ধরণের মানসিক সমস্যা হয় ?
২৬৯জন অপরাধীর মধ্যে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল ১৩৭জন ধর্ষক ও ১৩২জন শিশুর যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত। এদের মধ্যে ৭৩ শতাংশের ছেলেবেলাতেই যৌন নির্যাতনের অভিজ্ঞতা হয়েছে। ৭৮ শতাংশ ছোট থেকেই মা-বাবার সম্পর্কে হিংসা দেখে বড় হয়েছে। ৭০ শতাংশ মানসিক অপব্যবহারের শিকার। এছাড়া শিশুদের মধ্যে পশুপাখিদের প্রতি নিষ্ঠুরতা, ছোট থেকে হিংসাত্মক ছবি দেখার মতো কিছু দেখতে এখন থেকেই সাবধান হয়ে যান।
সিনেমা থেকে শুরু করে কমেডিয়ান এমনকি বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রেও মা বোন তুলে গালিগালাজ করাকে অনেকে রেপ কালচার বলে অভিহিত করেন। কখনও রেগে, কখনও মজা করে এধরণের গালিগালাজ করে তারা। এধরণের অনেক মানুষ ধর্ষণের জোকস, রেপ ভিডিও দেখতে মজা পান। ধর্ষণের হুমকিকেও তারা সাধারণভাবেই নেন। সাইকোলজিস্ট মধুমিতা পাণ্ডে ১২২জন সাজাপ্রাপ্ত ধর্ষক ও ৬৫জন সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের সঙ্গে কথা বলে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন। বেশিরভাগ খুনি মনে করে সে ভুল করেছে। কিন্তু ধর্ষকদের নিজেদের কাজে একটুও অনুশোচনা নেই। কারণ মহিলাদের তারা খুবই নীচু চোখে দেখে। সবমিলিয়ে চূড়ান্ত পুরুষত্ব, রেপ কালচারের মতো জিনিসকে সমূলে বিনাশ করতে হবে। তার জন্য ছোট থেকে শিশুর মনোস্তাত্বিক বিকাশে জোর দেওয়া প্রয়োজন। পুলিশ প্রশাসন, আইনি ব্যবস্থাকে শক্ত হতে হবে। শিক্ষা ও রোজগারে জোর দিতে হবে। স্কুলে সেক্স এডুকেশন, শিশুকে গুড টাচ, ব্যাড টাচের শিক্ষা দিতে হবে। তবেই সমাজ থেকে সমূলে বিনাশ করা যাবে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনের মতো নারকীয় ঘটনা।