স্বাধীন ভারতে এই প্রথমবার, পদে থাকাকালীন দেশের অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে থানায় এফআইআর করার নির্দেশ দিলো আদালত। শনিবার বেঙ্গালুরুর এক বিশেষ আদালত দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সহ চারজনের বিরুদ্ধে এই নির্দেশ জারি করেছে। এরপরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশ জুড়ে।
সুঞ্জু সূর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তোলাবাজি করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ‘আদর্শ আইয়ার’ নামে এক ব্যক্তি। তিনি ‘জনাধিকার সংগ্রাম সংস্থা’ নামে একটি সংস্থার সঙ্গে জড়িত। আদর্শ আইয়ার একটি ব্যক্তিগত অভিযোগ (পিসিআর) আনেন কেন্দ্রিয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা, ও কর্ণাটক বিজেপির দুই নেতা নলিন কুমার এবং বি ওয়াই বিজয়েন্দ্রর বিরুদ্ধে। আদর্শ আইয়ার এর অভিযোগের মোদ্দা কথা হলো নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বেআইনিভাবে টাকা তোলা। তাঁর (আদর্শ আইয়ার) অভিযোগ বিভিন্ন কেন্দ্রিয় এজেন্সি যেমন ইডি, আয়কর দফতর, সিবিআই প্রভৃতি এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে ভয় দেখিয়ে নির্বাচনী বন্ডে টাকা বিনিয়োগ করানো হয়েছে। আর এর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। আদর্শ আইয়ার এর দাবি আরও অনেক প্রভাবশালী এই দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছে।
নির্মলা সীতারামন এর বিরুদ্ধে মুল অভিযোগ অবশ্য নির্বাচনী বন্ডের নামে এক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার থেকে ২০১৯ ও ২০২২ সালে দুই দফায় মোটা টাকা আদায় করা হয়েছিল।এই মামলায় শনিবার বেঙ্গালুরুর জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ আদালত (৪২ এসিএমএম আদালত) এই নির্দেশ জারি করেছে। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তিলক নগর থানার পুলিশ নির্মলা সীতারামন সহ বাকিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করবে। আদালতের এই নির্দেশ সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই কংগ্রেস কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পদত্যাগ দাবি করেছে। প্রসঙ্গত ২০১৮ সালে কেন্দ্রিয় সরকার ‘নির্বাচনী বন্ড’ চালু করেছিলো। তবে ২০২৪ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি, সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে ‘নির্বাচনী বন্ড’-কে অসাংবিধানিক বলে বাতিল করে দেয়। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে সেই অনুযায়ী নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপি প্রায় ৬ হাজার কোটি ও কংগ্রেস প্রায় ১ হাজার ৪২২ কোটি টাকার বেশি চাঁদা হিসাবে পেয়েছে।