নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতের আগে পৌঁছাতে পারেনি কোনও দেশ। চন্দ্রযান ৩ র বিস্ময়কর ল্যান্ডিং বিশ্বের দরবারে মান বাড়িয়েছে ভারতের।২০২৩ সালের অগস্ট মাসে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ‘সফ্ট ল্যান্ডিং’ করেছিল ইসরোর তৈরি চন্দ্রযান-৩। পাখির পালকের মতো তার সেই অবতরণ আশ্বর্য করেছিল সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের। ল্যান্ড করার পর চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়েছিল রোভার প্রজ্ঞান। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চাঁদের মাটিতে রোভারটি ঘুরে বেরিয়ে চাঁদ সম্পর্কিত বহু তথ্য সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। যা নিয়ে চলছে গবেষনা। গবেষণার মাধ্যমে উঠে আসছে একাধিক বিস্ময়কর তথ্য। রোভার প্রজ্ঞানের ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলির মধ্যে একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে চাঁদের প্রাচীনতম গর্তগুলির মধ্যে একটিতে নেমেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। আনুমানিক ৩৮৫ কোটি বছর আগের গর্তে পা রেখেছে এই চন্দযানটি। আমদাবাদে ইসরোর ফিজ়িক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান-৩-এর ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলি বিশ্লেষণ করেছেন। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য,চাঁদে যে গর্তে চন্দ্রযান-৩ নেমেছে, যেখানে এখনও রয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। গবেষণায় উঠে এসেছে, এই গর্ত নেকটারিয়ান যুগে তৈরি হয়েছে। আজ থেকে প্রায় ৪০০ কোটি বছর আগে সে যুগের অস্তিত্ব ছিল। তারা এটাও জানাচ্ছেন চাঁদের ভারতের চন্দ্রযান ৩ পৌঁছেছে এর আগে কোন দেশ পারেনি। বিজ্ঞানীদের মতে,রোভার প্রজ্ঞানের ক্যামেরায় উঠে আসা ছবি থেকে চাঁদের বিবর্তন সম্পর্কেও ইঙ্গিত মিলছে। বস্তুত এই ধরনের গর্ত তখনই তৈরি হয় যখন মহাকাশে কোনও গ্রহ বা উপগ্রহের পৃষ্ঠে গ্রহাণু ধাক্কা মারে। এগুলিকে ‘ক্রেটার’ বলা হয়। তেমনই একটি ‘ক্রেটারে’ নেমেছিল চন্দ্রযান-৩ বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। গর্তটি প্রায় ১৬০ কিলোমিটার বিস্তৃত। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওই গর্ত অর্ধবৃত্তাকার। এই গর্তটা নিয়ে চলছে আরো গবেষণা। রোভারের পাঠানো ছবিগুলো থেকে একাধিক বিস্ময়কর তথ্য মিলবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।