বুধবার ১২ দিনে পা রাখল জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন। ইতিমধ্যেই ৫ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নতুন করে আরো দুজন যোগ দিয়েছেন অনশনে আর এর পাশাপাশি প্রত্যেকদিন অনশনমঞ্চে প্রতীকি অনশনে যোগ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন সন্তানসহ চিকিৎসা দেখে তাদের কান্না পাচ্ছে।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: ১২ দিনে পা রাখল জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন কর্মসূচি। এখনো পর্যন্ত এই অচলাবস্থা কাটার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আর এর মধ্যেই সাধারণ মানুষ যেরকম ভাবে প্রত্যেক দিন অনশন মঞ্চে আসছেন তাতে অনশনকারীদের মনের জোর অনেকটা বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য। বুধবার এক ৮ বছরের মেয়েকেও দেখা গেল এই প্রতীকি অনশনে যোগ দিতে।
এর মধ্যেই মঙ্গলবার রেড রোডে যখন পুজো কার্নিভাল চলছিল তখন রানী রাসমণি রোডে পালিত হল দ্রোহের কার্নিভাল। ভিড় উপচে পড়ে এই কার্নিভালে। ধর্মতলা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এই দ্রোহের কার্নিভালের জন্য। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগ দেন এই কার্নিভালে। প্রত্যেকের একটা বক্তব্য আরজিকরের নির্যাতিতার বিচার না পাওয়া অবধি এই দ্রোহই তাদের উৎসব।
এদিন এই দ্রোহের কার্নিভালে যোগ দিতে কলকাতা ও তার আশপাশ থেকে হাজার হাজার মানুষ এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। মহিষবাথান থেকে ঢাকিরা এসেছিলেন। যারা ঢাকের আওয়াজে গতি এনে দিয়েছেন এই প্রতিবাদে। প্রতিবাদের মিছিলের সামনে লেখা রয়েছে ব্যানার—‘বিচার যখন প্রহসন, লড়াই তখন আমরণ’। ঢাকিদের ঢাকের বোল দ্রোহের কার্নিভালকে উজ্জীবিত করে তোলে আরও।
কিন্তু ১২ দিন পার হয়ে গেল। অনশনকারীদের শরীর ভাঙতে শুরু করলেও মনের জোর লৌহসম। বিচার আসেনি দাবিও মেটেনি তাই সকলে সমস্বরে প্রশ্ন তুলছেন “আর কবে?”