সঞ্জু সুর, সাংবাদিক ঃ ‘বাংলার আবাস যোজনা’র তালিকাভুক্ত গৃহহীনদের বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হবে এবছর ডিসেম্বর মাসে। এই মুহূর্তে রাজ্য জুড়ে সেই তালিকা তৈরির জন্য সার্ভে করার কাজ চলছে। এবার নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে সার্ভের কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়ে নিজেদের অপারগতার কথা জানিয়ে বিডিও কে চিঠি দিলেন সেচ দফতরের সহকারী ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ।
সঞ্জু সুর নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- বারংবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন নিবেদন করা বা চিঠি দেওয়া, কেন্দ্রিয় মন্ত্রীর দফতরে ধর্ণা দেওয়ার পরেও আবাস যোজনার এক টাকাও দেয় নি কেন্দ্র। এই অভিযোগ কে সামনে রেখেই লোকসভা নির্বাচনে গিয়েছিলো তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্র যতই বঞ্চনা করুক, ২০২৪ এর ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলার বঞ্চিত মানুষ কে রাজ্য সরকার নিজেদের টাকা থেকেই বাড়ি তৈরির টাকা দেবে। সেই কারণে নতুন করে সার্ভে করার কাজও শুরু হয়েছে রাজ্যে। এমনই এক সার্ভের কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়ে নিজেদের অপারগতার কথা জানিয়ে বিডিও কে চিঠি দিলেন ৪ নং কংসাবতী ক্যানাল সহকারী ইঞ্জিনিয়াররা।
বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (BDO)-কে চিঠি দিয়ে কেসিএসডি-৪ এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে ২১ অক্টোবর’২০২৪ থেকে ৩০ অক্টোবর’২০২৪ পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি সার্ভের কাজের জন্য তাঁদের ২২ জন সহকারী ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে ১৯ জনকেই সার্ভের কাজের জন্য বলা হয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে পে-স্কেল অনুযায়ী একই গ্রেডের হওয়া সত্বেও তাঁদের (সহকারী ইঞ্জিনিয়ারদের) অপেক্ষাকৃত অধঃস্তন কর্মির অধীনে কাজ করার কথা বলা হয়েছে যা তাঁদের পদের গরিমা কে আঘাত করেছে। পাশাপাশি সহকারী ইঞ্জিনিয়ারদের আরও বক্তব্য এই সময় সেচ দফতরের অধিনস্ত কেসিএসডি-৪ এর সব কর্মিই ক্যানাল রিলেটেড বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত। তার মধ্যে রয়েছে সর্বক্ষণ নিরিক্ষা করা, জলের গজ মাপা, বাঁধের সুরক্ষা জরিপ করা ইত্যাদি। এইসব কাজে কোনো রকম শৈথিল্য দেখালে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়তে পারেন। তাই সবদিক বিবেচনা করে যেন তাঁদের এই কাজ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। ‘বাংলার আবাস যোজনা’র কাজ ভুলত্রুটি হীন ভাবে সঠিক সময়ে শেষ করার বিষয়ে তাঁরা সমস্ত রকমের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন। প্রয়োজনে অধিক সরকারি আধিকারিকদেরও এই কাজে নিয়োগ করা হবে।
প্রসঙ্গত ‘বাংলার আবাস যোজনা’য় এরাজ্যের প্রায় সাড়ে এগারো লক্ষ গৃহহীনদের তিন দফায় এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে রাজ্য। প্রথম দফায় ৬০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় দফায় ৪০ হাজার ও তৃতীয় দফায় ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। তবে গৃহহীনদের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে যাতে কোনো রকম কোনো ভুলভ্রান্তি না হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্য ইতিমধ্যেই নবান্নের পক্ষ থেকে এসওপি (Standard Operating Procedure) পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।