রিয়া দাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যুদ্ধ থামার তো নামই নেই। অফুরন্ত ইরানের মাটিতে কীভাবে ইজরায়েল হামলা চালাবে তার ব্লুপ্রিন্ট ফাঁস হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইরানের উপর হামলার প্রস্তুতি শুরু করেছে ইজরায়েল। তবে তেল আভিভের এই প্রস্তুতি কথা ফাঁস হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়া টেলিগ্রামে ফাঁস হয়ে গেল আমেরিকার তেমনই এক গোপন নথি। সূত্রে খবর, ইরানের মাটিতে কীভাবে ইজরায়েল হামলা চালাবে তার ব্লুপ্রিন্ট রয়েছে এই নথিতে। এমন গোপন নথি টেলিগ্রামে ফাঁস হওয়ার ঘটনায় তদন্তে নামল আমেরিকা। এই নথি ফাঁসের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তদন্তের বার্তা দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যে নথি ফাঁস হয়েছে, তা মার্কিন জিওস্পেশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির। এতে দেখা গেছে, ১ অক্টোবর ইজরায়েলের মাটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ স্বরূপ কীভাবে হামলা চালাবে তেল আভিব। ফাঁস হওয়া নথি ফাইভ আইস নামে পরিচিত আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বিনিময়ের জন্য তৈরি হয়েছিল। নথিতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, ইজরায়েলের বায়ুসেনা আকাশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে। অনুমান করা হচ্ছে, ইরানে হামলার উদ্দেশেই তৈরি হয়েছিল এই ব্লুপ্রিন্ট। এছাড়াও ইরানের সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করতে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে স্থানান্তরের কথাও জানানো হয়েছে রিপোর্টে। ইরানপন্থী বিভিন্ন টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে এই নথিগুলি তারা জোগাড় করেছে।এই গোপন নথি কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে গেল তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছে আমেরিকা। কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থার কেউ যুক্ত নাকি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর। এ প্রসঙ্গে এক মার্কিন কর্তা জানান, শুধুমাত্র এই নথি ফাঁস হয়েছে নাকি অন্য আরও গোপন নথি ফাঁস করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হিজাবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার মৃত্যুর বদলা নিতে ইজরায়েলে প্রায় ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। সেই হামলার ঘটনায় পাল্টা ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়েছিলনে এর ফল ভুগতে হবে ইরানকে। যদিও এখনও পর্যন্ত ইরানে পাল্টা হামলা করেনি ইজরায়েল। পরমাণু শক্তিধর ইরানের উপর হামলা চালাতে ব্লুপ্রিন্ট যে তৈরি সে আভাষ আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এবার আমেরিকার গোপন নথি ফাঁস হতেই স্পষ্ট হয়ে গেল ইরানকে জব্দ করতে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছে ইজরায়েল।তবে তথ্য ফাঁস নিয়ে মার্কিন কর্তাদের প্রতিক্রিয়া দুরকম। একদলের মতে, রিপোর্টে নতুন কিছু নেই। অন্যদলের মতে, ইরানের হামলার প্রস্তুতি নিয়ে এই রিপোর্ট পশ্চিম এশিয়াকে আরও অশান্ত করে তুলবে। কীভাবে এই নথি ফাঁস হল তা নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের অন্দরে শুরু হয়েছে তরজা। তথ্য আদানপ্রদানের সময় নিচুস্তরের কোনও কর্মীর থেকে এগুলি ফাঁস হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।