ল্যান্ডফল হতে এখনও বাকি অনেকটাই। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ ইতিমধ্যেই তার দাপট দেখাতে শুরু করেছে। প্রকৃতি এখনও তেমন বিরূপ না হলেও, ডানা-র ঝাপটের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই পর্যটকশূণ্য পুরী। পর্যটকশূণ্য বকখালিও।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- সবে পুজো শেষ হয়েছে। অন্যান্য বছর এই সময় খুব বেশি ভিড় না থাকলেও একেবারে পর্যটকহীন হয় না দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বকখালি। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ তার ডানা মেললে সেই ডানার ঝাপটা পড়ার আশঙ্কায় প্রশাসন কিন্তু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বকখালির সৈকত একেবারেই পর্যটক শূন্য করে দিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হলো, কোনোরকম চান্স নিতে তারা রাজি নয়। তাই বুধবার বেলা থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোনো পর্যটককেই সমুদ্রে নামতে দেওয়া হবে না। এই বিষয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে সেই সঙ্গে এটাও জানালেন যে সমুদ্র সৈকত পর্যটক শূন্য করা হলেও, পুরীর মতো পুরো বকখালি কে পর্যটকহীন করা হচ্ছে না। যারা (পর্যটক) ইতিমধ্যেই চলে এসেছেন, তাদের হোটেলেই থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে নতুন করে পর্যটকদের আর আসতে দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে ইতিমধ্যেই বকখালিতে চলে আসা বেশকিছু পর্যটক সমুদ্রে স্নান করতে না পেরে ভগ্ন মনোরথ। নদীয়ার কৃষ্ণনগর, বেথুয়াডহরি থেকে মঙ্গলবার রাতে বকখালি এসেছেন দশ থেকে পনেরো জনের একটি দল। মূলতঃ ঘুরতেই আসা। আজ সকালে মিনিট দশেকের জন্য সমুদ্রে নামতে পেরেছিলেন। কিন্তু তারপরই উঠে আসতে হয়েছে। তাদের বক্তব্য ‘এত টাকা খরচ করে, বারো ঘন্টা জার্নি করে এলাম, কিন্তু সমুদ্রেই নামতে পারলাম না। ধূর কিছুই তো হবে না, তাহলে আজকে একটু নামতে দিতে পারতো।’ তিরিশ জনের আরেকটি দল এসেছিলেন গড়িয়া থেকে। তারা তো সমুদ্রে নামতেই পারেন নি। ফলে ফ্রেজার গঞ্জ সহ আশপাশের দু’একটা জায়গা ঘুরে আজকেই ব্যাক টু প্যাভিলিয়ন। এদিকে সী-বিচ লাগোয়া প্রায় সব দোকানই বন্ধ। ফলে রোজগারে টান পড়েছে তাদেরও।