নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক:কড়া বিধিনিষেধের মধ্যে পদক ও পিএইচডি ডিগ্রি পেতে চলেছেন পড়ুয়ারা। কোভিড অতিমারির পর থেকে হয়নি সমাবর্তন অনুষ্ঠান। এবারও সমাবর্তন অনুষ্ঠান না করে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের শতবার্ষিকী হলে হতে চলেছে পদক এবং পিএইচডি ডিগ্রি বিতরণ অনুষ্ঠান। ৩ অক্টোবর এই অনুষ্ঠান। পদক ও ডিগ্রি দেওয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোসের। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে যাতে কোন গন্ডগোল না হয় তার জন্য ৯ দফা বিধিনিষেধ লাগু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাতে জানানো হয়েছে পদক এবং পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপকরা যথাযথ পরিচয়পত্র দেখিয়েই একমাত্র ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবেন। ডিগ্রি প্রাপক সঙ্গে কাউকে আনতে পারবেন না। যদি প্রাপক নিজে না আসতে পারেন, সেই ক্ষেত্রে তাঁর হয়ে পদক বা ডিগ্রি নিতে তার আত্মীয় অথবা অন্য কেউ আসতে পারবেন না। পরে প্রাপককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তা সংগ্রহ করতে হবে। যা দেখে বিস্মিত শিক্ষকদের একাংশ। শিক্ষকমহলের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত চিন্তার জায়গা। সেখানে যারা ডিগ্রি বা পদক নেবেন তাদের বিধিনিষেধ নেমে তা নিতে হবে। এটা অনভিপ্রেত।
এই ডিগ্রি প্রদান নিয়ে টিএমসিপির সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী জানান,” এই ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠান অসংবিধান এবং বেআইনি। সমাবর্তন ছাড়া কখনোই ডিগ্রী দেওয়া যায় না। এটা বিশ্ববিদ্যালয় কি নিয়ম হচ্ছে? কোন জায়গায় নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়কে? এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের চরম অপমান । দীর্ঘদিনের এত বড় ঐতিহাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানে আঘাত করা হচ্ছে এটা একটা অবৈধ,অসংবিধান পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।” ৩ ডিসেম্বর এই ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানের বিরোধিতা দেখাবেন টিএমসিপি র সদস্যরা বলে জানিয়েছেন তারা।