নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: বিশ্বজুড়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাব। যার জেরে জলবায়ুতে প্রতিনিয়তই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় থেকে বৃষ্টিপাত সবকিছুরই যেন চারিত্রিক বদল ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়ার নিখুঁত পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সংখ্যায় বেড়ে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে বৃষ্টির ক্ষেত্রেও। খুব বেশি দিন ধরে বৃষ্টি না হলেও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়েছে। একই রাজ্যে একই সময়ে কোথাও বেশি, আবার কোথাও কম বৃষ্টি হচ্ছে। তাই বর্তমানে আবহাওয়া দফতরের কাছে এই জলবায়ু পরিবর্তন এখন বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আবহাওয়ার নিখুঁত পূর্বাভাস দিতে পুরো ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবস্থার আরও আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, পরিকল্পনা ২বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য এখন আবহাওয়া দপ্তরের মোট ৩৯টি রেডার আছে। কয়েক বছরের মধ্যে যার সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এই প্রকল্পটির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ২০০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। যেমন রেডারের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে তেমনই তৈরি হবে আরও স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্র। যেখানে ব্যবহার করা হবে সুপার কম্পিউটার এবং উপগ্রহ প্রযুক্তির আরও কিছু সরঞ্জাম। আর এই আধুনিকীকরণের ফলে আবহাওয়া সম্পর্কিত খবরের পূর্বাভাস আরও আগে থেকে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদী আবহাওয়াবিদেরা। আবহওয়ার আপডেট দিতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া কেন্দ্র। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিশন মৌসম’। এ রাজ্যেও দুটি জায়গায় রেডার বসানো হবে বলে জানা গেছে। ডায়মন্ডহারবার ও মালদহে দুটি নতুন রেডার বসানো হতে পারে। বৃষ্টি, তাপমাত্রা প্রভৃতির তথ্য সংগ্রহের পরিধি বৃদ্ধির জন্য আরও স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্র তৈরি করা হবে। পাশাপাশি শহরে ৪ কিমি অন্তর ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি করে এই কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের আশা এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দেশের মানুষ আরও তাড়াতাড়ি আবহাওয়া সম্পর্কিত সমস্ত আপডেট নিয়ে আগে থেকেই প্রাকৃতিক দূর্যোগ সম্পর্কে সতর্ক হতে পারবে।