উপনির্বাচনে ছয়ে ছক্কা। সবুজ সুনামিতে ধুয়ে মুছে সাফ বাম বিজেপি আর এই বিপুল জয়ের পরেই বামেদের তীব্র কটাক্ষ কুণাল ঘোষের
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: নজর ছিল আরজিকর ইস্যু কি কোন রকম প্রভাব ফেলবে বাই ইলেকশনে? সেই আশঙ্কা দূর করে মানুষের ভোট উপচে পড়ল টিএমসির ভোটবাক্সে। আর তারপরই সাংবাদিক সম্মেলন করে বামেদের তীব্র কটাক্ষ কুণাল ঘোষের।
আরজিকর আবহে তুমুল ভাইরাল অরিজিৎ সিংয়ের গান আর কবে? দিয়েই বামেদের বিঁধলেন তিনি। প্রশ্ন তুললেন আর কবে? সিপিএম শুন্য থেকে এক হবে! প্রসঙ্গত এই উপনির্বাচনেও যে বামেরা তাদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারবে না এই কথা অনেকেই বলেছেন কাউন্টিং শুরু হতেই তা আরও স্পষ্ট হল।
এদিন কুণাল বলেন ‘সমস্ত কুৎসা বিফল করে উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল। তার অভিযোগ আরজিকর নিয়ে অনেক মিথ্যাচার হয়েছে। আর তারপরই আচমকা গেয়ে ওঠেন ‘আর কবে আর কবে আর কবে? সিপিএম শুন্য থেকে এক হবে?’ তার সাফ কথা যে বিপুল ভোটে টিএমসি জয়ী হয়েছে তাতে স্পষ্ট মানুষ আজও মমতাতেই আস্থা রাখেন’।
কুণাল আরও জানান ‘আরজিকর অত্যন্ত খারাপ এক ঘটনা। তাকে নিয়ে কত ভিডিও কত অডিও ১৫০ গ্রাম বীর্য ইত্যাদি বলে বামেরা মানুষের আবেগকে ভুল পথে চালনা করা হয়েছে কিন্তু মানুষ তাতে কান দেননি কারণ পুলিশ দোষীকে গ্রেফতার করেছে।’ তিনি অভিযোগ করেন এই ঘটনা বামেদের আমলে আরও বেশি হয়েছে এটা নিয়ে বিজেপি যে ন্যারেটিভ রচনা তৈরি করেছিল বাংলার মানুষ তা নষ্ট করে দিয়েছে।
বামনেতাদের দিকে প্রশ্ন করে কুণাল বলেন ‘ভোটের শতাংশ দেখেছেন বাম বিজেপি? লজ্জা করে না? মানুষ থেকে তো আপনারা বিচ্ছিন্ন প্রথম হওয়া তো দূর। আপনার হায়ারিং পোস্ট দিয়েছেন না এবার দিন রাজ্য সম্পাদক চাই। একটা জায়গায় মাত্র প্রার্থী। ফলে আরজিকর নিয়ে যারা মিথ্যের রাজনীতি করলেন সেই সিপিএমকে চিনে রাখুন। কুৎসাকারীর গালে গালে, বাকিটা ভেবে নেবেন কমরেডরা। আরজিকর কান্ড কেউ সাপোর্ট করেন না। সেখানে বামেরা সাধু সেজে মমতাকে ম্যালাইন করার চেষ্টা মানুষ ধরে নিয়েছে।এটা তো বাম জমানাতে বেশি হত। বামেরা শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় আছেন বাস্তবে নেই। সুজন চক্রবর্তী রাজ্য সম্পাদক হলে কিছুটা ভোট বামেদের বাড়ত কিন্তু মহম্মদ সেলিমের জন্য তা হবে না এমনই অভিযোগ কুণাল ঘোষের।