সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: দেখতে দেখতে আবারও সেই অভিশপ্ত দিন আসতে চলেছে। ২৬শে নভেম্বরের স্মৃতি এখনও তাজা। মুম্বাইয়ের তাজ হোটেল হামলার দিনকে স্মরণে রেখে, শহীদ স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান হবে বিভিন্ন জায়গায়। তবে আজমল কাসভের মতো আর কোনও সন্ত্রাসী যাতে হামলা না করতে পারে তার জন্যই বিশেষ পদক্ষেপ নিল ভারতীয় নৌ বাহিনী। দেশের রক্ষার্থে জলভাগের সীমানা বরাবর সমুদ্রের বুকে গড়ে তোলা হচ্ছে প্রাচীর। এই প্রাচীর যাতে ভেদ না করা যায় তারই কাজ শুরু করল ভারতীয় নৌ-বাহিনী। ভারতীয় নৌ-সেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী, উপকূল রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ, শুল্ক দফতর, নজরদারি নৌকা, জাহাজ এবং মত্স্যজীবীদের নিয়ে তৈরি হচ্ছে নিরাপত্তা বলয়। জঙ্গিরা জলপথে হামলার চেষ্টা করলে সেই আভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রুখে দাঁড়াবে দুর্ভেদ্য এই নিরাপত্তা বলয়। কীভাবে এতোগুলো বাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে তা নিয়ে গাইডলাইন তৈরির কাজ শেষ। এবার হাতে-কলমে চলছে তা খতিয়ে দেখা। দেশের সবকটি উপকূল এলাকায় শুরু হল সি- ভিজিল ২০২৪। এমনকি কলকাতাতেও সমান ভাবে সি- ভিজিল করা শুরু হল গার্ডেনরিচ ডক এলাকায়। গোয়া, কেরল, লাক্ষাদ্বীপ, আন্দামান ও নিকোবর, কলকাতাসহ একাধিক উপকূলবর্তী এলাকায়, বিশেষ করে যেগুলি স্পর্শকাতর এলাকা অর্থাৎ যে সমস্ত এলাকায় ব্যবসায়িক আদান-প্রদানও চলে, সেই সব এলাকায় চলছে সি- ভিজিল মহড়া। দেশের ৩টি বড় জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩টি বিমানবাহী রণতরী তৈরি করতে চেয়েছিল ভারতীয় নৌ সেনা। আইএনএস বিক্রান্ত, আইএনএস বিক্রমাদিত্যর পর তৃতীয় যুদ্ধজাহাজের কাজে হাত লাগিয়েছে ভারত।